নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর জুন মাসে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার মাস পাঁচেক কাটতে না কাটতেই বড়োসড়ো একটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে গেল ভারতে। বুধবার রাত ৯টা ৫৩ মিনিটে নাগাদ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দিল্লির আনন্দ বিহার থেকে আসামের কামাখ্যাগামী নর্থ ইস্ট সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস (North East Express Train Accident)। পরপর এইভাবে ট্রেন দুর্ঘটনা রীতিমতো যাত্রীদের আতঙ্কে ভোগাচ্ছে।
বুধবার রাত্রিবেলায় এই ট্রেন দুর্ঘটনার পর রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় এনডিআরএফ। রাতের অন্ধকারে উদ্ধারকার্য শুরু করতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকার্য শুরু করার পর রাত দুটোতেই উদ্ধারকার্য শেষ করা হয় বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রাতের অন্ধকারে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের কামরাগুলি থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয় এবং ছটি বাসে তাদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়। রেলে তরফ থেকে আজই আলাদা ট্রেনের বন্দোবস্ত করে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানো হবে।
বিহারের বক্সার জেলার রঘুনাথপুর রেলস্টেশনের কাছে ঘটে যাওয়া এই রেল দুর্ঘটনায় প্রথমে অনুমান করা হয়েছিল পাঁচ থেকে ছয়টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। কিন্তু পরে জানা যায় ট্রেনটির ২১ টি কামরাই লাইনচ্যুত হয়। এই ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু এবং ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যারা গুরুতর আহত তাদের বিহারের এইমসে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন হল এই ট্রেন দুর্ঘটনার পেছনে কি কারণ লুকিয়ে রয়েছে?
এত বড় একটি ট্রেন দুর্ঘটনার পিছনে কি কারণ লুকিয়ে রয়েছে তা খুঁজে বের করতে ইতিমধ্যেই রেলের তরফ থেকে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো যে জায়গায় এমন দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে রেল লাইনের একাধিক জায়গা ভেঙে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই ঘটনার দিকে তাকিয়ে দুর্ঘটনার পিছনে নাশকতার কারসাজির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না রেল।
কেননা এর আগে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার সময় একই লাইনে দুটি ট্রেন চলে আসা এবং তার সঙ্গে সঙ্গে অন্য একটি ট্রেন পাশ হওয়ার কারণে বড়সড়ো দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এবারের এই রেল দুর্ঘটনায় সেই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে। এছাড়াও লাইনের ভাঙ্গা অংশ আরও বেশি প্রশ্ন তুলছে, তাহলে কি সত্যিই এই ট্রেন দুর্ঘটনার পিছনে লুকিয়ে রয়েছে কোন নাশকতার কারসাজি!