নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের প্রতিটি নাগরিকদের ন্যূনতম চাহিদা খাদ্যের যোগান দেওয়া হয়ে থাকে রেশন (Ration) ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে। একসময় সীমিত কিছু মানুষ বিনামূল্যে রেশনে খাদ্য সামগ্রী পেতেন, তবে পরবর্তীতে করোনার সময় লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকে অধিকাংশ উপভোক্তারাই বিনামূল্যে রেশন পেয়ে থাকেন। বিনামূল্যে রেশনে পাওয়া খাদ্য সামগ্রীর পরিমাণ রেশন কার্ডের (Ration Card) ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে আলাদা আলাদা হয়।
তবে জানেন কি, রেশন কার্ড থাকলেও আগামীদিনে বেশ কিছু উপভোক্তাদের কপাল পুড়তে চলেছে! আগামী দিনে বেশ কিছু উপভোক্তারা আর বিনামূল্যে রেশনে খাদ্য সামগ্রী পাবেন না! ছোট্ট একটি ভুল আর ছোট্ট একটি কাজ না করার কারণেই এই সকল উপভোক্তারা সরকারের দেওয়া বিনামূল্যে রেশনের খাদ্য সামগ্রী থেকে বঞ্চিত হবেন। এখন প্রশ্ন হল আপনিও সেই সকল উপভোক্তাদের তালিকায় পড়ছেন না তো?
আসলে সরকারের তরফ থেকে যেমন রেশন তালিকায় নথিভূক্ত থাকা উপভোক্তাদের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে, ঠিক সেই রকমই আবার বেশ কিছু অসাধু মানুষ রয়েছেন যারা এই সুবিধার অপব্যবহার করেন। তাদের তরফ থেকে সুবিধার অপব্যবহার করার কারণে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যাদের সত্যিই সরকারের এই সাহায্য প্রয়োজন তারা প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন। এই ধরনের অসাধু মানুষদের খুঁজে বের করতে কেন্দ্রের তরফ থেকে মোক্ষম এক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের তরফ থেকে এই ধরনের অসাধু ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার জন্য আগেই রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একাধিকবার এই লিংক করানোর সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও অনেকেই রয়েছেন যারা এখনো পর্যন্ত এই লিংক করানোর ছোট্ট কাজটি করিয়ে উঠতে পারেননি। তাদের জন্য এবার কেন্দ্রের তরফ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফ থেকে যে নির্দেশিকা জারি রয়েছে তাতে ৩১ অক্টোবর ২০২৩ এর মধ্যেই সব উপভোক্তাদের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বর লিঙ্ক করানোর কাজটি সেরে নিতে হবে। যদি তা না হয় তাহলে সেই রেশন কার্ড বাতিল ঘোষণা করা হতে পারে। রেশন কার্ড বাতিল ঘোষণা করা হলেই ওই উপভোক্তা পুরোপুরি ভাবে বিনামূল্যের রেশনের খাদ্য সামগ্রী থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবেন। সুতরাং আপনিও যদি এই তালিকায় পড়ে থাকেন তাহলে আর দেরী না করে ছোট্ট কাজটি সরে ফেলুন।