নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েক বছরে ভোজ্য বিভিন্ন ধরনের তেলের দাম যেভাবে উর্ধ্বমুখী হতে দেখা গিয়েছে তাতে নাভিশ্বাস হয়ে দাঁড়িয়েছিল সাধারণ মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের। কেননা ভোজ্য তেল এমন কোন রান্না নেই যাতে লাগেনা। বিশেষ করে সর্ষের তেল (Mustard Oil)।
মাছ থেকে শুরু করে মাংস অথবা যেকোনো ধরনের সবজি রান্নার ক্ষেত্রে সর্ষে তেলের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। কিন্তু করোনাকালের পর থেকে যেভাবে সরষের তেলের দাম বেড়েছিল তাতে অনেকেই রয়েছেন যাদের কাছে সরষে তেল কিনা এক প্ৰকার দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে এবার সর্ষে তেলের দাম (Mustard Oil Price) এখন অনেকটাই কমেছে, যে কারণে এখনই সর্ষে তেল কিনে রাখার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে সরষে তেলের দাম অনেকটা কমে যাওয়ার কারণে তার প্রভাব মোটামুটি ভাবে গোটা দেশেই পড়েছে। উত্তরপ্রদেশে ১৪৫ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে সর্ষের তেল। প্রতাপগড়ে সরষের তেলের দাম এখন লিটার প্রতি ১৪২ টাকা। আগ্রাতেও সরষে তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকা লিটার দরে। যেখানে করনাকালের পর সর্ষে তেলের দাম উঠেছিল লিটার প্রতি প্রায় ২০০ টাকা।
উত্তরপ্রদেশের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে সরষে তেলের দাম এখন আরও অনেকটাই কম রয়েছে। লুজ অর্থাৎ খোলাস সরষে তেল এখন পশ্চিমবঙ্গের বাজারে বিক্রি হচ্ছে লিটারে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে এত কম দামে সরষের তেল পাওয়া যায়নি বললেই চলে। আর এইভাবে সর্ষের তেলের দাম কমার ফলে এখন স্বস্তিরেছে সাধারণ মানুষদের ঘরে ঘরে।
তবে এই স্বস্তি আবার কতদিন টিকবে তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কেননা ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বহু জিনিসপত্রের দাম এখন বাড়ানো হচ্ছে। এতদিন এই সকল জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে রাখা হয়েছিল মূলত ভোটের কথা মাথায় রেখে। সেক্ষেত্রে দাম বাড়ার আগেই যদি সস্তায় সরষের তেল একটু বেশি করে সঞ্চয় করে রাখা হয় তাহলে কিন্তু অনেকটাই খরচ বাঁচবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।