নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলার আলোচিত যে সকল নেতা নেত্রী রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। রাজনৈতিক জীবনে তিনি বারবার আলোচিত হওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও বারবার আলোচিত হয়ে রয়েছেন। এছাড়াও সাংবাদিকদের দু’পয়সার সাংবাদিক থেকে মিডিল ফিঙ্গার দেখিয়েও বারবার তাকে আলোচনার অন্যতম কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠতে দেখা যায়।
মহুয়া মৈত্র এমন একজন সাংসদ যিনি সম্প্রতি সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন, যদিও তাকে তৃণমূল আবার প্রার্থী করেছে কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে। এই বহিষ্কৃত সাংসদ আবার রয়েছে ৮০ লক্ষ টাকা দামের হিরের আংটি, রয়েছে ৩০ লক্ষ টাকার আর্ট পিসও। আবার তিনি নাকি যখন সংসদে যেতেন তখন তার হাতে থাকতো বহু মূল্যবান ব্যাগ, যার দাম নাকি ২ লক্ষ টাকার বেশি। স্বাভাবিকভাবেই এমন একজন সাংসদ বছরে কত টাকা রোজগার করেন তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই কৌতূহল রয়েছে।
২০২৪ সালের হিসেব অনুযায়ী মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra 2024 Property Details) ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আয় ছিল ৫ লক্ষ ৫১ হাজার ৮০ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই রোজগারের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয় এবং তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ লক্ষ ২৫ হাজার ৭০ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রোজগার ছিল ৯ লক্ষ ২৯ হাজার ৬৪০ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রোজগার ছিল ১১ লক্ষ ৮১ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রোজগার ছিল ১২ লক্ষ ৭ হাজার ৫৪১ টাকা।
সম্প্রতি নিজের মোট সম্পত্তির বিষয়ে মহুয়া মৈত্র যে হলফনামা পেশ করেছেন তা থেকে তার মোট অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে তাতে নগদ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ, আমানত, অলংকার ইত্যাদি মিলিয়ে মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি ৫০ লক্ষ ৬৭ হাজার ১৬৬ টাকা। এর মধ্যেই রয়েছে ৮০ লক্ষ টাকার একটি হীরের আংটি। এছাড়াও সোনা দানা ও অন্যান্য ধাতুর অলংকার রয়েছে বিপুল পরিমাণে।
কোটি কোটি টাকা অস্থাবর সম্পত্তির পাশাপাশি মহুয়া মৈত্রের যে স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে জানা যায় তা রীতিমত অবাক করা। কেননা তিনি তার স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে হলফনামায় কিছু উল্লেখ করেননি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ও মহুয়া মৈত্রকে নিজের স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করতে দেখা যায়নি। তবে ২০১৯ এর তুলনায় ২০২৪ মহুয়া মৈত্রের মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। কেননা সেই সময় মহুয়া মৈত্রের মোট অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ২ কোটি ৬৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ২৫০ টাকা। পাঁচ বছরে তা বেড়েছে ৮৫ লক্ষ ৭১ হাজার ৯১৬ টাকা।