নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় সংসদে কোটিপতি সাংসদ যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন নদীয়ার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। মহুয়া মৈত্র রাজনীতিতে কয়েক বছর আগে পা দিলেও তিনি যেভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তার রীতিমত চমকে দেওয়ার মতো। ২০০৯ সালে ইন্ডিয়ান ইয়ুথ কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর আবার ২০১০ সালে তিনি যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। তারপর থেকেই তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) কাছাকাছি আসেন এবং দলের আস্থাভাজন থেকে বিধানসভা এবং লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পান। দুই ক্ষেত্রেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি জয়যুক্ত হয়েছিলেন এবং বিধায়ক ও সাংসদ হয়েছিলেন।
মহুয়া মৈত্র জন্মগ্রহণ করেছিলেন আসামের কাছার জেলায়। এরপর পড়াশোনার জন্য কলকাতা ও পরে আমেরিকায় তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানে ম্যাসাচুসেটসের মাউন্ট হলিওক কলেজ থেকে তিনি অর্থনীতি এবং গণিতে বিএ পাশ করেন। এরপর বিদেশেই শুরু হয় তার কর্মজীবন। জেপি মরগান নামে আমেরিকার বহুজাতিক ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে তিনি কর্মরত ছিলেন। তবে এত বড় একটি সংস্থার এত বড় পদ ছেড়ে তিনি ভারতীয় রাজনীতিতে পা রাখেন।
মহুয়া মৈত্রর বৈবাহিক জীবন শুরু হয়েছিল ডেনমার্কের ডানিসের লার্স বর্সনের সঙ্গে বিয়ের মধ্য দিয়ে। তার স্বামী ছিলেন একজন বিদেশী। তবে তাদের বিবাহিত জীবন খুব বেশি বছর স্থায়ী হয়নি। অন্যদিকে মহুয়া মৈত্রের ডিভোর্স হওয়ার আগে তিনি জয় অনন্ত দেহাদরাইয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। তাদের এই সম্পর্ক বিবাহ বিচ্ছেদের তিন বছর আগে থেকে ছিল বলেও সূত্রের খবর। এমনকি তাদের মধ্যেকার গভীর বন্ধুত্বের বিষয়টি মহুয়া মৈত্রকে স্বীকারও করেছেন।
আরও পড়ুন ? মন বসেনি বিদেশি কর্পোরেট চাকরিতে! বেছে নেন রাজনীতি! কত টাকা কামিয়েছেন মহুয়া মৈত্র
এমনকি মহুয়ার বিবাহ বিচ্ছেদের পিছনে জয় অনন্ত দেহাদরাইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বকেও অনেকে দায়ী করে থাকেন। তবে এই বন্ধুত্ব বেশি দিন টেকেনি। এমনকি বর্তমানে তারা একে অপরের জাত শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এমনকি মহুয়া বারবার অভিযোগ করেছেন, তার বিরুদ্ধে এমন কুৎসা রটানোর জন্য তার প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ডও রয়েছেন। মহুয়া যে প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ডের কথা বলছেন তিনি হলেন জয় অনন্ত দেহাদরাই। এখন প্রশ্ন হল মহুয়ার প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড আসলে কে?
মহুয়ার প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড জয় অনন্ত দেহাদরাই দেখতে একেবারে সুপুরুষ। তিনি সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী। বর্তমানে দুজনের মধ্যেকার সম্পর্ক একেবারেই শত্রুর মত। আদানি গোষ্ঠী এবং গৌতম আদানের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে মহুয়ার প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ডই মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়েছিলেন। কোন দিকে এমন ঘটনার পাল্টা হিসাবে জয় অনন্ত দেহাদরাইকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র।