নিজস্ব প্রতিবেদন : চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) উৎক্ষেপণ এবং সফলভাবে তা চাঁদের মাটিতে অবতরণ না করলে হয়তো জানতেই পারা যেত না বাংলার আনাছে কানাচের ২৫ জন মহাকাশ বিজ্ঞানী ISRO তে কর্মরত এবং তাদের সবার অবদান রয়েছে এমন একটি মিশনের সাফল্যে। চন্দ্রযান-৩ এর প্রস্তুতির সময়কাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের কয়েকজন বিজ্ঞানীর নাম উঠে আসছিল।
তবে বুধবার সন্ধ্যাবেলায় সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার পর জানা যায়, একজন দুজন নন, এই মিশনের সঙ্গে যুক্ত পশ্চিমবঙ্গের ২৫ জন বাঙালি মহাকাশ বিজ্ঞানী। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো এই সকল মহাকাশ বিজ্ঞানীদের অধিকাংশই খুবই দুঃস্থ-দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা এক একজন মেধাবী ব্যক্তিত্ব। এই সকল মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে কারো বাবা চাষী, তো আবার কারো বাবা সামান্য বেতনের কর্মী। আর তাদের সন্তানরাই আজ বিশ্বের সামনে দেশের মুখ উজ্জ্বল করলো।
বাংলার ২৫ জন ইসরো বিজ্ঞানের নাম : উত্তর ২৪ পরগনা থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, অর্থাৎ দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত এখনও ২৫ জন মহাকাশ বাঙালি বিজ্ঞানী নাম জানা গিয়েছে যারা এই মিশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আগামী দিনে হয়তো আরও অনেকের নাম উঠে আসতে পারে। ইনারা হলেন রামকৃষ্ণ মিশনের বেলুড় প্রাক্তন ছাত্র অমিত মাজি, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের মানস সরকার, উত্তর দিনাজপুরের অনুজ নন্দী।
এছাড়াও রয়েছেন হুগলির উত্তরপাড়ার জয়ন্ত লাহা, রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে উত্তীর্ণ মৌমিতা দত্ত, বীরভূমের বিজয় কুমার দাই, সায়ন চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ গুপ্ত, সাউথ পয়েন্ট প্রাক্তন ছাত্র অভ্রজিত রায়, ডন বস্কো স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ বসু, হুগলির উত্তরপাড়ার সুমিতেশ সরকার। রয়েছেন দেবজ্যোতি ধর, কৌশিক নাগ, তমলুকের আর্য রানা, বহরমপুরের টসকিল ওয়ারা, যাদবপুরের কৃশানু নন্দী, বিশ্বভারতীর মহম্মদ মোশারফ হোসেন, কলকাতা থেকে সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, যাদবপুরের রাজীব সাহা।
রয়েছেন চন্দ্রযান ৩ মিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর তুষার কান্তি দাস, চয়ন দত্ত, IIST থেকে সৌরভ মাজি, নদিয়া থেকে পীযুষ কান্তি প্রামাণিক এবং বেসু থেকে রিন্টু নাথ। এখনো পর্যন্ত এই মিশনের সঙ্গে যুক্ত থাকা বাঙালি বিজ্ঞানী ২৫ জন অর্থাৎ যাদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে তাদের নিয়ে সত্যিই গর্বিত বাংলা। কেননা এই সকল বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রত্যেকের কোন না কোন দায়িত্ব ছিল। আর সেই দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে তারা রাত দিন পরিশ্রম করে ভারতকে এমন সাফল্য এনে দিয়েছেন।