নিজস্ব প্রতিবেদন : অক্টোবর মাসেই সিমকার্ড (Simcard) নিয়ে নিয়মে বদল আনার ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে সেই নিয়ম সেই সময় কার্যকর করা হয়নি। পরিবর্তে এই নিয়ম কার্যকর করার জন্য আরও দু’মাস সময় দেওয়া হয়। দু’মাস সময় দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে। নতুন এই নিয়ম না মানলে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এমনকি বড় শাস্তি হিসেবে জেলও হতে পারে।
মোবাইল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সিমকার্ড হল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বস্তু। সিমকার্ড না থাকলে মোবাইল একপ্রকার অচল। তবে সিমকার্ড নেওয়া এবং বিক্রির ক্ষেত্রে এমন সব ঘটনা ঘটে চলেছে যেগুলি থেকেই প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে নানান ধরনের প্রতারণামূলক ঘটনা। এই সকল প্রতারণামূলক ঘটনার হাত থেকে সাধারণ মানুষদের রক্ষা করতেই কেন্দ্রের তরফ থেকে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
নতুন নিয়ম অনুসারে এখন থেকে প্রতিটি সিমকার্ড ডিলারদের নির্দিষ্ট ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সমস্ত সিমকার্ড নথিভুক্ত করতে হবে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুযায়ী। যদি এই নিয়ম না মানা হয় তাহলে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে। এছাড়াও পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
যাদের সিম কার্ড রয়েছে এবং তারা নতুন সিম কার্ড নিতে চাইছেন তাদের থেকে ডেমোগ্রাফিক ডেটা সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকের প্রয়োজন বয়স, লিঙ্গ, ঠিকানা ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য। এর পাশাপাশি প্রত্যেককে বাধ্যতামূলকভাবে আধার ভেরিফিকেশন অর্থাৎ কেওয়াইসি করাতে হবে।
একসঙ্গে একাধিক সিম কার্ড ইস্যু করা যাবে না। সিম কার্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে যদি কোন ব্যক্তি তার ব্যবসায়িক কাজের বিষয়টি উল্লেখ করতে পারেন তাহলে তিনি একসঙ্গে একাধিক সিম কার্ড নিতে পারবেন। এছাড়াও নতুন নিয়ম অনুসারে একটি আইডিতে ৯টির বেশি সিম কার্ড ইস্যু করা যাবে না।
সিম কার্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ৯০ দিন পার হতে হবে তবেই ওই সিমকার্ড অন্য কোন ব্যক্তিকে দেওয়া যাবে। নতুন এই নিয়মের আওতায় শাস্তির মুখোমুখি না হওয়ার জন্য ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই প্রতিটি সিম কার্ড ডিলার এবং ভেন্ডারদের নাম টেলিকম সংস্থার কাছে নথিভুক্ত করতে হবে।