নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশজুড়ে এখন সবচেয়ে চর্চায় অযোধ্যার রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir)। কেনই বা চর্চায় থাকবে না? দীর্ঘ কয়েক দশকের লড়াই শেষে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিতর্কিত জমি গিয়েছে রাম জন্মভূমির পক্ষে। যেখানে ২০২০ সাল থেকে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হতেই এই মন্দিরের নির্মাণ প্রক্রিয়া নিয়েও শুরু হয় চর্চা। এছাড়াও রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ বারবার দাবি করছে, এই মন্দির জাতি-ধর্মের বিভেদ দূর করে দেবে।
জাতি ধর্মের বিভেদ দূর করার জন্য রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই বিশ্বের ইসলাম ধর্মাবলম্বী বেশ কিছু দেশের রাষ্ট্র নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তারা রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা যাচ্ছে। এছাড়াও রাম মন্দিরে রামের যেসব মূর্তি বসছে তার মধ্যে একটি মূর্তি উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের মহম্মদ জামালউদ্দিন ও তার ছেলে বিট্টুর হাতে তৈরি। অন্যদিকে রাম মন্দির যে প্রযুক্তির ব্যবহারে নির্মাণ হচ্ছে, সেই প্রযুক্তিও চমকপ্রদ।
মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে যেসব দাবি-দাওয়া তুলে ধরা হয়েছে তাতে এই রাম মন্দির আগামী ১০০০ বছর পরও সংস্কারের প্রয়োজন হবে না। ৬.৫ রিখটার স্কেল ভূমিকম্পেও কোন ক্ষতি হবে না। এমন রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি। তারপর কিছুদিনের মধ্যেই ভক্তদের জন্য ওই রাম মন্দির খুলে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে রাম মন্দিরে যাতে ভক্তরা সহজেই পৌঁছাতে পারেন তার জন্য রাম মন্দির উদ্বোধনের আগেই অযোধ্যা বিমানবন্দরের উদ্বোধন করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই অযোধ্যা বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু এই বিমানবন্দর উদ্বোধনের অপেক্ষায়। অযোধ্যার এই বিমানবন্দরটি উদ্বোধনের দিন হিসাবে যা জানা গিয়েছে তা হল ২৫ ডিসেম্বর। ঐদিন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিন। বিমানবন্দরের উদ্বোধনের পাশাপাশি ঐদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ১৮ হাজার কোটি টাকার অন্যান্য প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করবেন।
২৫ ডিসেম্বর অযোধ্যার বিমানবন্দরের উদ্বোধনের পর এখানে প্রথম বিমান নামবে ৩০ ডিসেম্বর। ইতিমধ্যেই ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের তরফ থেকে অযোধ্যার বিমানবন্দরের বিমান ওঠানামার সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। অযোধ্যা বিমানবন্দরের জন্য প্রথম বিমানটি ৩০ ডিসেম্বর দিল্লি থেকে সকাল ১১:৫৫ মিনিটে রওনা দেবে। এরপর সেই বিমানটি দুপুর ১:১৫ মিনিটে অযোধ্যার বিমানবন্দর অর্থাৎ শ্রীরাম বিমানবন্দরে অবতরণের সূচি রয়েছে। এরপর ধারাবাহিকভাবে অযোধ্যা বিমানবন্দরে বিমান আসা-যাওয়া শুরু হয়ে যাবে।
অযোধ্যায় শ্রীরাম বিমানবন্দর তৈরি করা হয়েছে ৩৩৬.৫৯ একর জমির উপর। বিমানবন্দরের যে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে সেটি আট হাজার বর্গমিটার এলাকায় রয়েছে। এটি হলো উত্তরপ্রদেশের চতুর্থ বিমানবন্দর। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই বিমানবন্দর তৈরি করা হয়েছে। এই বিমানবন্দর থেকে উড়ান সংস্থাগুলি দিনরাত সবসময় পরিষেবা দেবে। এখানকার রানওয়ে এবং বিমানবন্দরের পরিকাঠামো যেভাবে তৈরি করা হয়েছে তাতে একসঙ্গে চারটি বিমান পার্কিং করে থাকতে পারবে। এছাড়াও প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় বিমান পরিষেবা পাওয়া যাবে এমনই পরিকল্পনা রয়েছে।