Chandranath Sinha Property Details: চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে ইডি হানা, কত টাকার মালিক অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে অতি তৎপর হতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুক্রবার সাত সকালেই তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা হানা দেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার (Chandranath Sinha) বোলপুরের বাড়িতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের মন্ত্রীর বাড়িতে এমন হানা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রীর সম্পত্তি (Chandranath Sinha Property Details) নিয়ে নানান কৌতুহল তৈরি হচ্ছে আমজনতার মধ্যে।

রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ঠিক কত টাকার মালিক এবং তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কতদূর তা সম্পর্কে জানা যায় ইলেকশন কমিশনে তার তরফ থেকেই জমা দেওয়া হলফনামা থেকে। তিনি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং জয়যুক্ত হয়েছিলেন। তখনই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় জমা দিয়েছিলেন হলফনামা।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে ২০২১ সালে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় তার হাতে নগদ ছিল ৫৫ হাজার ২৫৪ টাকা এবং তার স্ত্রীর হাতে নগদ ছিল ৬৫ হাজার ৬৫০ টাকা। দুজনের নামেই বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা জমা থাকার পাশাপাশি তাদের এমআইএস, পিপিএফ সহ বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে দুজনের নামেই সোনার অলংকার। সমস্ত কিছু মিলিয়ে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার অস্থাবর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯৬ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৫২ টাকা এবং তার স্ত্রীর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৪৫ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৫২ টাকা। এছাড়াও সন্তানদের নামে রয়েছে যথাক্রমে ১০ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪৯১ টাকা এবং ১১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৪৮০ টাকা।

আরও পড়ুন 👉 Most popular cm of India: মমতাও নয়, যোগিও নয়, সবাইকে হারিয়ে ইনিই হয়ে উঠলেন দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রী

এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি চাষযোগ্য জমি, অচাষযোগ্য জমি, বসতবাড়ি ইত্যাদি নিয়েও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে চন্দ্রনাথ সিনহা ও তার পরিবারের। এই সকল সমস্ত সম্পত্তি মিলিয়ে চন্দ্রনাথ সিনহার নামে থাকা মোট স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২৮ লক্ষ ৬৭ হাজার ২৫০ টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ২ কোটি ৪০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮৮৯ টাকা। সব মিলিয়ে চন্দ্রনাথ সিনহা এবং তার স্ত্রী কোটি কোটি টাকার মালিক।

অন্যদিকে যদি চন্দ্রনাথ সিনহার শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা বলা হয় তাহলে পড়াশোনায় তিনি তুখোর। তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পড়ুয়া ছিলেন এবং সেখান থেকেই ১৯৮৮ সালে গণিতে এমএসসি করেছিলেন। এরপর আবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিওথেরাপিতে ডিপ্লোমা করেছিলেন।