নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র পেশ করতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র পেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই জানা যাচ্ছে তাদের সম্পত্তি ও শিক্ষাগত যোগ্যতা। অন্যান্য কেন্দ্রের প্রার্থীদের মতোই বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী শ্যামলী প্রধান (Shyamali Pradhan) নিজের মনোনয়নপত্র ও হলফনামা জমা দিয়েছেন। যেখানে তিনি তাক লাগিয়েছেন সম্পত্তিতে। তিনি তাক লাগিয়েছেন মূলত নামমাত্র সম্পত্তির (Shyamali Pradhan Property Details) কারণে।
এবার বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বাম প্রার্থী শ্যামলী প্রধান সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তার তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে, তিনি হাতে নগদ ১৭০০ টাকা নিয়েই ভোটের ময়দানে নেমেছেন। এর পাশাপাশি অন্যান্য অস্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তিও তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু নেই বললেই চলে।
শ্যামলী প্রধান বছরে কত টাকা রোজগার করেন তা সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করেননি। তার নামে মোট চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় এবং একটি ইউকো ব্যাঙ্কে। ওই সকল অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার পরিমাণ যথাক্রমে ২৯৫০.৬২ টাকা, ১১৩২.৪০ টাকা, ৪৫৪৭.৪০ টাকা এবং ৫৯৩ টাকা। তার নামে রয়েছে দুটি এলআইসি পলিসি। তবে তার নামে রয়েছে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার সোনার অলংকার। এই সমস্ত কিছু মিলিয়ে শ্যামলী প্রধানের মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৪ লক্ষ ১ হাজার ৪৪৭.৪২ টাকা।
অন্যদিকে তার নামে রয়েছে কিছু পরিমাণ চাষযোগ্য জমি। যে সকল জমি রয়েছে নানুর এবং বোলপুর ব্লকে। এসব বাদ দিয়ে তার নামে আর অচাষযোগ্য জমি বা বাড়িঘর নেই। অন্যদিকে আবার তার নামে রয়েছে বিপুল পরিমাণে ঋণ। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে তার নামে রয়েছে ৯৮ হাজার টাকার গোল্ড লোন, অন্য একটি সংস্থা থেকে রয়েছে ৩৫ হাজার টাকার কৃষি ঋণ এবং এলআইসি থেকে ৯ হাজার ১০ টাকার ব্যক্তিগত ঋণ রয়েছে তার। সব মিলিয়ে তার মোট ঋণের পরিমাণ ১ লক্ষ ৪২ হাজার ১০ টাকা। এই টাকা তাকে সময় মতো শোধ করতে হবে।
বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী শ্যামলী প্রধান দীর্ঘদিনের একজন বাম কর্মী হিসেবে দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি একাধিকবার লোকসভা ও বিধানসভা মিলিয়ে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ২০১১ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি তৃণমূলের গদাধর হাজরার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। তবে ২০১৬ সালে চিত্রটা বদলে গিয়েছিল। যে সময় তিনি গদাধর হাজরাকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেছিলেন। আবার ২০২১ সালে একই বিধানসভা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তাকে মাত্র ১২৮৭৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে নামতে হয়েছিল। এই বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে তিনি প্রথম লোকসভার প্রার্থী হয়েছেন।