নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম একজন ক্রিকেটার হিসেবে সব সময় ধরা হয়ে থাকে ইউসুফ পাঠানকে (Yusuf Pathan)। তিনি একমাত্র খেলোয়াড় যিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ডেবিউ করেছিলেন। তিনি দু’দুটি বিশ্বকাপ জয়ী টিমের সদস্য ছিলেন। ২০০৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি পা দিয়েছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে।
তবে এরপর কেটে গিয়েছে অনেক বছর। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের পারফরম্যান্স দেখানোর পাশাপাশি এক এক দিবসীয় ক্রিকেটেও নজরকাড়া পারফর্মেন্স দেখিয়েছেন। এখন অবশ্য তিনি প্রাক্তন। তবে টিম ইন্ডিয়ায় তিনি প্রাক্তন হলেও সম্প্রতি তিনি রাজনৈতিক ময়দানে নতুন ইনিংস শুরু করেছেন। তৃণমূল তাকে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করে সকলকে রীতিমতো চমকে দিয়েছে। এমন একজন তারকা ক্রিকেটার রাজনৈতিক ময়দানে আসতেই তার সম্পত্তি (Yusuf Pathan Property Details) এবং ভোটে জেতার কতটা সম্ভব না তা নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে শুরু হয়েছে চরম কৌতুহল।
তৃণমূলের তরফ থেকে ইউসুফ পাঠানকে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করার পরিপ্রেক্ষিতে একদিকে যেমন রাজনৈতিক আঙিনায় নতুন ইনিংস শুরু করলেন ইউসুফ পাঠান, ঠিক সেই রকমই আবার তাকে তৃণমূলের প্রার্থী করা নিয়ে বিতর্কের শেষও নেই। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তৃণমূল কেন গুজরাতের ইউসুফ পাঠানকে বাংলার কোন লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করল? কেননা তৃণমূলের তরফ থেকেই বারবার বাইরের প্রার্থীদের বহিরাগত বলে খোঁচা দেওয়া হয়, সেই জায়গায় তারাই কিনা এবার বহিরাগতকে প্রার্থী করল।
আরও পড়ুন ? বুড়ো হাড়ে ভেলকি! ২৬ বলে ৮০! ইউসুফের মারকাটারি ব্যাটিং, তাণ্ডব চলল ২২ গজে
সে যাই হোক এবার যদি ইউসুফ পাঠানের সম্পত্তির দিকে নজর রাখা যায় তাহলে দেখা যাবে, ২০১২ সালের ৩০ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা ইউসুফ পাঠানের বার্ষিক আয় ২০ কোটি টাকা। সর্বভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৪৮ কোটি টাকা। যদিও আর দিন কয়েক পরেই যখন তিনি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা করবেন এবং হলফনামা জমা দেবেন তখন তার সম্পত্তির একেবারে খুঁটিনাটি তথ্য সামনে চলে আসবে।
অন্যদিকে তারকা প্রার্থী হলেও বহরমপুর কেন্দ্র থেকে তার জয় ছিনিয়ে নেওয়া অনেকটাই কঠিন বলেও মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। কেননা বহরমপুরকে সবসময় অধীর গড় বলা হয়ে থাকে। কংগ্রেসের খরা টাইমেও এই কেন্দ্র থেকে অধীর চৌধুরী বারংবার জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। ১৯৯৯ সালে তিনি এই কেন্দ্রে প্রথম প্রার্থী হয়েছিলেন এবং তারপর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অন্য কেউ এই কেন্দ্রীয় জয়লাভ করতে পারেননি।