Chief Secretary Manoj Pant: বিদেশে কাজের অভিজ্ঞতা, জেলাশাসক থেকে সচিব, কিনা সামলেছেন রাজ্যের নতুন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ

Madhab Das

Published on:

Advertisements

কলকাতা: রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্য সচিব বিপি গোপালিকার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হতে পারে বলে জল্পনা চলছিল দিন কয়েক ধরেই। তবে সেই জল্পনা আর দীর্ঘায়িত হলো না। বিপি গোপালিকার বর্ধিত মেয়াদ ৩১ আগস্ট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্র রাজ্যের নতুন মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ করলো মনোজ পন্থকে (Chief Secretary Manoj Pant)। শনিবার বিপি গোপালিকা ও মনোজ পন্থের দায়িত্বভার হস্তান্তরিত করা হয়।

Advertisements

মনোজ পন্থকে রাজ্যের মুখ্য সচিব হওয়ার ২৪ ঘন্টা আগে অর্থ সচিব থেকে সরিয়ে সেচ ও জনসম্পদ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব করা হয়েছিল। তবে এরপরই রাজভবনের অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব হিসাবে নিযুক্ত করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। নতুন মুখ্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব নিলেও রাজ্যের সাধারণ মানুষেরা মনোজ পন্থকে তো আর সেই ভাবে চেনেন না। যে কারণেই তার অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে পড়াশোনা সহ বিভিন্ন কৌতুহল রয়েছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে।

Advertisements

মনোজ পন্থ হলেন উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। তিনি ১৯৯১ আইএএস ব্যাচের একজন অফিসার। তিনি জিওলজিতে স্নাতকোত্তর। আইএএস অফিসার হওয়ার পর ১৯৯৩ সালে যখন অবিভক্ত মেদিনীপুর ছিল সেই সময় প্রথম কাজ শুরু হয়। সেই সময় তিনি বর্তমান পূর্ব মেদিনীপুরে এসডিএম হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। আইএএস অফিসার হিসাবে জীবনের প্রথম কাজ তার শুরু হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গেই।

Advertisements

আরও পড়ুন: Vande Bharat Express: চালু হলো নতুন তিনটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, দেখে নিন রুট ও ভাড়া

পশ্চিমবঙ্গে কাজ শুরু করার পর সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি রাজ্যের বিভিন্ন জেলা যেমন মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের দায়িত্ব সামলেছেন। এরপর তিনি আবার দেশের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত তিনি ওই পদে ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি কাজের কারণে চলে যান বিদেশ।

মনোজ পন্থ ২০১১ সালের অক্টোবরের পর বিশ্বব্যাংকের সদর কার্যালয়ে ওয়াশিংটনে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ শুরু করেন। ওয়াশিংটনে বছর তিনেক কাজ ও থাকার পর তিনি আবার ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের রিটার্ন করেন। যোগ দেন জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের যুগ্ম সচিব পদে। এরপর ভূমি দপ্তর, অর্থ দপ্তর কত কি না সামলেছেন। এরই মধ্যে আবার তার ঘাড়ে এসেছিল সেচ দপ্তরেও দায়িত্ব। তবে সেই দায়িত্বে হাত লাগানোর আগেই আরও বড় দায়িত্ব হিসেবে যোগ দিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব পদে।

Advertisements