Kanchanjunga Express Accident Reason: কত গতিতে ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস? ঠিক কী কারণে ভয়াবহ দুর্ঘটনা? মুখ খুলল রেল

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার ফিরল উত্তরবঙ্গে। সোমবার সকাল পৌনে নটা নাগাদ ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchanjunga Express Accident)। এদিন সাত সকালে যে দুর্ঘটনা বাঁধে সেই দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে তাতে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা অনেক, সংখ্যাটা হতে পারে ২৫ এর বেশি।

Advertisements

শিয়ালদা নিউ জলপাইগুড়ি যাতায়াতের মূল যে লাইন সেই লাইনের উপর এদিন এমন দুর্ঘটনা বাঁধে। অটোমেটিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কেন ফের একবার করমন্ডল এক্সপ্রেসের মত দুর্ঘটনা ঘটে গেল তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে কত গতিতে ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং কত গতিতে ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে এসে ধাক্কা মারা মালগাড়িটির? এই নিয়েই এবার মুখ খুলল রেল (Indian Railways)।

Advertisements

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের দুর্ঘটনার যে কারণ (Kanchanjunga Express Accident Reason) ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে তা হল পুরোটাই মালগাড়ির গাফিলতি। অন্ততপক্ষে রেল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। এদিন মালগাড়িটি সিগন্যাল ফেল করে সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারার ফলে পিছনের দিকে থাকা তিনটি কামরা উঠে যায় মালগাড়ির উপর। যে তিনটি কামরা উঠে গিয়েছে তার মধ্যে দুটি ছিল পার্সেল ভ্যান এবং একটি যাত্রীবাহী। নেহাৎ শেষের তিনটি কামরার মধ্যে দুটি পার্সেল ভ্যান থাকার কারণে হতাহতের সংখ্যা কিছুটা হলেও কম রয়েছে। ওই দুটি কামরাও যদি যাত্রীবাহী হত তাহলে আহত এবং মৃতের সংখ্যা অনেক বেড়ে যেত।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Sleeping Time in Train: ৯ ঘন্টার বদলে ৮ ঘন্টা! জানুন ট্রেনের এসি, স্লিপার কোচে ঘুমানোর সঠিক সময়

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের পিছনে ধাক্কা মারা মালগাড়ির সিগন্যাল ফেল করার পিছনে ট্রেনের কোন যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে কিনা অথবা লোকো পাইলটের কোন গাফিলতি রয়েছে কিনা তা এখন রেলের তরফ থেকে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে কিছু সূত্র দাবি করছে, লোকো পাইলটের গাফিলতির কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে থাকলেও হতে পারে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এদিন নির্ধারিত সময়ের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে আসার পর সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই রাঙাপানি ও নিচবাড়ি স্টেশনের মাঝে এমন দুর্ঘটনা ঘটে যায়।

দুর্ঘটনার সময় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটির গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার। অন্যদিকে ধাক্কা মারা মালগাড়িটির গতিবেগ যথেষ্ট ছিল বলে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রেল পরিষেবা ব্যাহত। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দুর্ঘটনার পর পরই কন্ট্রোল রুমে পৌঁছে পরিস্থিতির মোকাবিলায় নজরদারি চালাচ্ছেন।

Advertisements