নিজস্ব প্রতিবেদন : যৌবন, টাকা পয়সা এসব নিয়ে বহু মানুষের মধ্যেই অহঙ্কার দেখা যায়। তবে এসব কখনোই চিরস্থায়ী নয়। যে কারণেই বাইজু রবীন্দ্রনের এখন যে অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই অবস্থা দেখে নেটিজেনদের অনেকেই বলছেন, বাইজু রবীন্দ্রনকে দেখে সেই সকল মানুষেরা শিক্ষা নিয়ে যাদের টাকার অহংকার রয়েছে।
২০১১ সাল থেকে তরতরিয়ে বৃদ্ধি পেতে শুরু করা স্টার্টআপ সংস্থা হিসাবে বাইজু (Byju) সবচেয়ে মূল্যবান সংস্থা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে। রবীন্দ্রনের মস্তিষ্ক প্রসূত একটি অ্যাপ শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দেয়। প্রাথমিক থেকে শুরু করে এমবিএ, সব ধরনের পড়ুয়াদের কাছে বাইজু অ্যাপ একটি নির্ভরযোগ্য অ্যাপে পরিণত হয়। আর এমন নির্ভরশীলতা বা নির্ভরযোগ্যতার কারণে বাইজুর মোট সম্পত্তি ২০২২ সালে দাঁড়ায় ২২ বিলিয়ন ডলার।
২২ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি! ভাবতে পারেন ভারতীয় মুদ্রায় তা কত টাকা হতে পারে? কিন্তু এই সকল সম্পত্তি এখন সব ফুঁস। সাম্প্রতিক কিছু আর্থিক ঘটনা ও ক্রমবর্ধমান বিতর্ক এই সংস্থার এমন অধঃপতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ২০২২ সালের মার্চ মাসে যখন অর্থবছরের হিসাব প্রকাশ করা হয় তখন প্রথম সংস্থার ক্ষতি সামনে আসে। যে সময় দেখা যায় ১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বাইজু। আর এসবের মধ্যেই রবীন্দ্রনকেও সিইও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ভোট পড়ে।
সংস্থার এমন অবনতির কারণে তার প্রভাব পড়তে শুরু করে বাইজু রবীন্দ্রনের সম্পত্তিতেও (Byju Raveendran net worth)। গত বছর ফোবর্সের হিসেব অনুযায়ী, রবীন্দ্রনের মোট সম্পত্তি ছিল ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পত্তি এত সহজ বিষয় নয়। কেননা এই টাকা ভারতীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ১৭৫৫৪ কোটি টাকারও বেশি। ভাবতে পারেন একজনের সম্পত্তি ১৭ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা! কিন্তু এই টাকা এক বছরেই ফুঁস হয়ে গেল।
কেননা ফোবর্সের ইনডেক্স অনুযায়ী ২০২৪ সালে রবীন্দ্রনের সম্পত্তি শূন্যতে নেমে এসেছে। যেখানে গত বছরই রবীন্দ্রন মর্যাদাপূর্ণ বিশ্বের ধনী তালিকায় নাম উঠেছিলেন। ফোর্বসের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, গত বছরের তালিকা থেকে মোট চারজন বাদ পড়েছেন আর সেই চারজনের মধ্যে একজন হলেন বাইজু রবীন্দ্রন, যার ফার্ম বাইজু গত এক বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত।