নিজস্ব প্রতিবেদন : ইডি, সিবিআই থেকে শুরু করে আয়কর দপ্তর গত কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন জায়গায় হানা দিচ্ছে। নেতা মন্ত্রীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দেওয়ার পাশাপাশি বড় বড় ব্যবসায়ীদের বাড়িতেও হানা দিতে দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে এইসব হানার পরিমাণ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে বিষয়টি বহু মানুষের কাছেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা আয়কর দপ্তর (Income Tax Department) থেকে শুরু করে অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা থানা দিয়ে যেভাবে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করছেন তা চিন্তার বিষয়।
এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষদের মধ্যে বারবার একটি প্রশ্ন জাগছে আর সেই প্রশ্নটি হল, বাড়িতে কত টাকা নগদ রাখা যায়? বাড়িতে কত টাকা নগদ রাখলে এই ধরনের হানার পরিপ্রেক্ষিতে কোন সমস্যায় পড়তে হবে না? বাড়িতে অথবা লকারে নগদ রাখার ক্ষেত্রে ভারত সরকারের নিজস্ব এবং নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। সেই আইনের বাইরে টাকা রাখা হলেই কিন্তু সমস্যায় পড়তে হতে পারে। চলুন দেখে নেওয়া যাক ভারতীয় আইন কি বলছে।
ভারতীয় যেকোন নাগরিক তার বাড়িতে কত টাকা নগদ রাখবেন তা তার ব্যক্তিগত বিষয় এবং এর কোন ঊর্ধ্বসীমা নেই। হ্যাঁ, ভারতীয় আইন এমনটাই বলছে। তবে যদি আয়কর বিভাগ অথবা অন্য কোন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা হানা দিয়ে ওই টাকা উদ্ধার করেন তাহলে টাকার মালিককে টাকার উৎসের প্রমাণ দিতে হবে। যদি তিনি তা দিতে না পারেন তাহলে ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি শুরু হবে ব্যবস্থা গ্রহণ।
আরও পড়ুন ? বাড়িতে রয়েছে গুচ্ছেক সোনা! এই নিয়ম না জানলে পকেট ফাঁকা হতে সময় লাগবেনা
যদি কারো বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়ার টাকার কোন হিসেব অর্থাৎ উৎসের প্রমাণ দেওয়া না হয় তাহলে সেক্ষেত্রে জেল এবং জরিমানা সহ অন্যান্য শাস্তির নিদান দেওয়ার কথা রয়েছে ভারতীয় আইনে। এক্ষেত্রে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ওই টাকার ১৩৭ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা নেওয়া হয়। এছাড়াও জেলের ভাত দেওয়ার মতো নিদান রয়েছে। এছাড়াও নগদের লেনদেনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে।
যেমন কোন ব্যক্তি ঋণ, ডিপোজিট বা স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকার বেশি নগদ লেনদেন করতে পারবেন না। এছাড়াও একটি অর্থবর্ষে ২০ লক্ষ টাকার বেশি নগদে লেনদেন করলে তাকে সেই টাকার উৎসের প্রমাণ দিতে হবে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও ৫০ হাজার টাকার বেশি নগদ ব্যাংকে জমা দেওয়া অথবা তোলার ক্ষেত্রে প্যান নম্বর বাধ্যতামূলক। বছরে ২০ লক্ষ টাকার বেশি ব্যাংকে জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও প্যান আধার বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি কেউ যদি ৩০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি নগদে কেনাবেচা করে থাকেন তাহলে তার উপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজর থাকে।