নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিন দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের উপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। ট্রেনের ওপর এমন নির্ভরশীলতার কারণে ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) গণপরিবহনের লাইফ লাইন আখ্যা দেওয়া হয়। ভারতীয় রেলের তরফ থেকেও এই বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের উন্নতমানের পরিষেবা দেওয়ার জন্য নতুন নতুন ট্রেন সহ বিভিন্ন উন্নত পরিষেবা চালু করা হচ্ছে।
উন্নত মানের পরিষেবা দেওয়ার জন্য এবার রেলের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে RapidX ট্রেন। এই ট্রেনকে অনেকে আবার মিনি বুলেট ট্রেন বলছেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশে প্রথম RapidX ট্রেনের উদ্বোধন করেন। পরদিন অর্থাৎ ২১ আগস্ট থেকে এই ট্রেন যাত্রী নিয়ে সাধারণ পরিষেবা শুরু করে দেয়। এখন এই ট্রেন ঝড়ের গতিতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটে চলেছে।
ট্রেনটি দেখতে একেবারেই অত্যাধুনিক এবং এর সব সুবিধাও দেওয়া হয়েছে অত্যাধুনিক। বিমানের মত আসন থেকে শুরু করে অন্যান্য যাবতীয় সুবিধা রয়েছে এই ট্রেনে। ট্রেনের এমন অত্যাধুনিক সাজ দেখে অনেকেই মনে করছিলেন যে এর ভাড়া অনেক বেশি হতে পারে। কিন্তু যখন রেলের তরফ থেকে এই ট্রেনের ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করা হয় তখন দেখা যায়, যে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে তা একেবারেই জলের দরের মত। এমনকি আপনি শুনলে আপনারও বিশ্বাস না হতে পারে।
ভাড়া সম্পর্কে জানানোর আগে আরও কয়েকটি বিষয় জানিয়ে রাখা দরকার। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হলো এই ট্রেনের গতিবেগ। ট্রেনটির গতিবেগ সর্বোচ্চ ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার। দেশের প্রথম RapidX ট্রেন শাহিবাবাদ থেকে দুহাই যাতায়াত করবে এবং যাত্রাপথে যতগুলি স্টেশন রয়েছে সব স্টেশনে দাঁড়াবে। প্রতিটি স্টেশনে দাঁড়ানোর জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩০ সেকেন্ড।
এবার আসা যাক ট্রেনের ভাড়ায়। ট্রেনের ভাড়া একেবারেই ন্যূনতম। NCRTC এই ট্রেনের ভাড়া সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, ইকোনমিক ক্লাসে যারা যাত্রা করবেন তাদের ভাড়া ন্যূনতম ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা। যে সকল যাত্রীরা প্রিমিয়াম কামরায় যাত্রা করবেন তাদের ভাড়া দিতে হবে ন্যূনতম ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। ট্রেনটিতে মোট ছয়টি কামরা রয়েছে যার মধ্যে একটি প্রিমিয়াম এবং বাকি পাঁচটি ইকোনমি।