নিজস্ব প্রতিবেদন : শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অন্যতম অলরাউন্ডার হিসাবে যে সকল ক্রিকেটারদের নাম উঠে আসে তার মধ্যে অন্যতম হলেন সাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan)। ক্রিকেট জগতে নিজের পারফরম্যান্স ছাড়াও বিতর্কিত বিভিন্ন কাজ কর্মের জন্য তিনি অনেক সময় চর্চায় আসেন। এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপেও সেই রকমই একটি চর্চা তাকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল। তবে এখন সেসব অতীত। এখন তিনি চর্চায় ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কারণ।
বিশ্বের অন্যতম অলরাউন্ডার এবং ধনী ক্রিকেটার হিসাবে পরিচিত সাকিব আল হাসান এবার বাংলাদেশের সরকার গঠনের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন শাসক দল আওয়ামী লীগের। তিনি এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মাগুরা ১ আসন থেকে। ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবং তার সঙ্গে জমা দিয়েছেন সম্পত্তির হিসেব নিকেশ অর্থাৎ হলফনামা। এই হলফনামা থেকেই একটি বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে।
শাকিব আল হাসানের বিস্ফোরক তথ্যটি হল, এত বড় একজন ক্রিকেটার এবং ধনী ক্রিকেটার হয়েও তিনি মাথায় ৩২ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে ঘুরছেন। ৩২ কোটি টাকা অংকটি এত ছোট নয়। হলফনামা থেকে জানা গিয়েছে, ৩১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৬১ হাজার ৩৮২ টাকা লোন রয়েছে তার নামে ব্যাংকে। কেবলমাত্র ইস্টার্ন ব্যাংকে থাকা লোনের পরিমাণই হল ১ কোটি ৫০ লক্ষ ২০ হাজার ৩৬৩ টাকা। তার আয় থেকে ব্যাংকে আমানত হিসাবে আছে ২২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৪৯৩ টাকা।
সাকিব আল হাসানের অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে ১১ কোটি ৫৬ লক্ষ ৯১ হাজার ৮৭৬ টাকা ব্যাংকে জমা রয়েছে। শেয়ার মার্কেটে বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি। শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করা টাকার পরিমাণ হল ৪৩ কোটি ৬৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৮৭৪ টাকা। তার নামে রয়েছে ২৫ ভরি সোনার গয়না। এছাড়াও আসবাবপত্র এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম মিলে যে টাকা হবে তার পরিমাণ হলো ১৩ লক্ষ টাকা।
এই বিপুল পরিমাণ ঋণ এবং বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির পাশাপাশি সাকিব আল হাসান নিজের বার্ষিক রোজগার প্রসঙ্গে হলফনামায় যা উল্লেখ করেছেন তার পরিমাণ হলো ৫ কোটি ৫৫ লক্ষ ৭১ হাজার ২৬২ টাকা। সাকিব আল হাসান নিজেকে একজন ক্রিকেটার হিসাবেই হলফনামায় উল্লেখ করেছেন এবং নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসাবে বিবিএ পাস উল্লেখ করেছেন।