নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের প্রায় ৮ হাজার রেল স্টেশন থেকে প্রতিদিন ১২ হাজারের কাছাকাছি যাত্রীবাহী বিভিন্ন স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এই সকল ট্রেনের উপর ভর করে প্রতিদিন দেশের প্রায় হাফ কোটির বেশি মানুষ নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছান। ট্রেনে যাতায়াত অনেক বেশি আরামদায়ক এবং নিরাপদ হওয়ার কারণেই ট্রেনের উপর এত নির্ভরশীলতা। এছাড়াও রয়েছে কম সময়ে যাতায়াত থেকে শুরু করে খরচ কম।
রেল নেটওয়ার্কের ব্যাপক এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের নেটওয়ার্ক আরও বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ঠিক সেই রকমই এবার এমন একটি রুট চালু করা হচ্ছে যে রুটে মাত্র ১০ ঘণ্টায় কলকাতা থেকে পৌঁছে যাওয়া যাবে আগরতলা (Kolkata to Agartala)। এই নির্মীয়মান রেলপথের জন্য ১৫৩.৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
ভারতীয় রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে নতুন এই রেলপথ ২০২৩ সালের শেষের দিকেই তৈরি হয়ে যাবে। ভারতের ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে এমন রেলপথ তৈরি করা হচ্ছে। এই রেলপথ তৈরির জন্য ২০০৩ সালে অনুমোদন পাওয়া গিয়েছিল এবং ২০১৩ সালে এই রেলপথের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি হয়। ভারত এবং বাংলাদেশের এই রেলপথ নির্মাণের মূল লক্ষ্য হলো দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং পর্যটন শিল্পকে বৃদ্ধি করা।
এই রেলপথ নির্মাণের ক্ষেত্রে যে সকল লক্ষ্য রাখা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কলকাতা এবং আগরতলার মধ্যে দূরত্ব কমানো। ২০১৬ সালে এই রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। দেখতে দেখতে সাত বছর পেরিয়ে গিয়েছে এবং ২০২৩ সালের শেষের দিকেই এই রেলপথটি নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এই রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ হলে কলকাতা থেকে আগরতলা যাওয়ার জন্য সময় লাগবে ৩১ ঘন্টার পরিবর্তে ১০ ঘন্টা।
এই রেলপথের তিনভাগের দুভাগ রেললাইন হবে বাংলাদেশের মধ্যে। বাংলাদেশের আখাউড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশনকে নিশ্চিন্তপুরের একটি আন্তর্জাতিক অভিবাসন স্টেশনের মাধ্যমে আগরতলার সঙ্গে সংযুক্ত করবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই রেলপথ নির্মাণের ক্ষেত্রে ভারতীয় অংশের ৮৫% এবং বাংলাদেশের অংশের ৭৫% কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।