নিজস্ব প্রতিবেদন : মহাকাশ গবেষণায় ভারত দিন দিন নিজেদের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে। এমন প্রতিপত্তি বৃদ্ধি শুরু হয় মূলত চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) এর সফলতা হাতের মুঠোয় আসার পর থেকেই। যদিও পরিকল্পনা আগেই ছিল, তবে চন্দ্রযান ৩ এর সফলতা আসার পরই দেখা যায় সূর্যযান থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক অভিযান সামনে আসছে। এই সকল অভিযানের মধ্যেই এবার ভারত প্রথম সমুদ্রে নামছে গবেষণার জন্য। ভারতের এই প্রথম সমুদ্রযানের নাম দেওয়া হয়েছে মৎস্য ৬০০০ (Matsya 6000)।
ভারতের এই সমুদ্রযান নিয়ে এখন দেশের মানুষদের মধ্যে কৌতুহল চরমে। এই সমুদ্রযানটি তিনজন যাত্রী নিয়ে পৌঁছে যাবে গভীর সমুদ্রে। গভীর সমুদ্রের নিচে নেমে চলবে নানান ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা। ইতিমধ্যেই এই মিশনের জন্য সব রকম প্রস্তুতির কাজ চলছে, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজু এই সমুদ্রযান মিশনের জন্য পর্যবেক্ষণ করেছেন। পাশাপাশি ট্রায়ালের জন্য নির্ধারিত দিনও বেছে নেওয়া হয়েছে।
এসবের মধ্যেই দেশের মানুষের এখন জানার ইচ্ছে ভারতের নতুন এই মিশনের জন্য কত খরচ করা হচ্ছে এবং এই মিশনের মধ্য দিয়ে ঠিক কি কি উঠে আসবে? এর আগে আমরা দেখেছিলাম চন্দ্রযান ৩ মিশনের জন্য যে পরিমাণ অর্থ খরচ করা হয়েছিল তা রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বে। কেননা ওই মিশনের জন্য ইসরো (ISRO) খরচ করেছিল মাত্র ৬১৫ কোটি টাকা। এই সামান্য টাকায় একটি হলিউড সিনেমাও তৈরি হয় না। এমনকি ভারতেরও অনেক সিনেমার বাজেট এর থেকে বেশি।
এসব দেখে অবশ্য যদি কেউ ভেবে থাকেন সমুদ্র মিশনের জন্য ভারত অনেক কম খরচ করছে তাহলে ভুল করবেন। কেননা এই মিশনের জন্য ভারত অনেক বেশি খরচ করছে। ২০২৬ সালে এই মিশন শুরু হবে এবং তার আগে ২০২৪ সালেই বঙ্গোপসাগরে এই মিশনের ট্রায়াল নেওয়া হবে। যাতে করে এই বিপুল অর্থ খরচ করে এই মিশনে কোনো রকম ব্যর্থতা না আসে তার জন্য কোনরকম খামতি রাখতে চাইছেন না বিজ্ঞানীরা।
যে সাবমেরিনে এই মিশন করা হবে সেই সাবমেরিনটি তৈরি করেছে চেন্নাইয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি। এই মিশনের জন্য সব মিলিয়ে খরচ করা হবে ৪০৭৭ কোটি টাকা। এখনো পর্যন্ত ২২৫.৩৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এই সাবমেরিনটি সমুদ্রের ৬ হাজার মিটার গভীরে তিনজন যাত্রীকে নিয়ে যাবে এবং সেখানে নানান ধরনের মূল্যবান ধাতু থেকে শুরু করে খনিজ পদার্থ যেমন কোবাল্ট, নিকেল, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদির খোঁজ চালাবে।