নিজস্ব প্রতিবেদন : অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনকে ঘিরে দেশজুড়ে সোমবার অকাল দিওয়ালি পালন হচ্ছে। কেনই বা এই অকাল দিওয়ালি পালন হবে না। দীর্ঘ ৫০০ বছরের প্রতীক্ষার পর অবশেষে অযোধ্যা পেয়েছে রাম মন্দির। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি উদ্বোধন হলো রাম মন্দিরের। রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগে দীর্ঘ ১১ দিন ধরে নানান রীতিনীতি একটি পালন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সাম্প্রতিককালে ভারতে যে সকল মন্দির তৈরি হয়েছে সেই সব মন্দিরের মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল মন্দির হল রাম মন্দির। রাম মন্দির নির্মাণের জন্য মোট ১৮০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। অযোধ্যার রাম মন্দির এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা আগামী এক হাজার বছর রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াই অটুট থাকবে। অযোধ্যার রাম মন্দিরের পরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাতের বিষ্ণু উমিয় ধামের মন্দির। এই মন্দিরটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা।
সোমবার রাম মন্দির উদ্বোধনের মধ্য দিয়েই অযোধ্যায় উৎসবের সমাপ্তি ঘটছে না। বরং অযোধ্যার রাম মন্দিরে এখন ৭০ দিন ধরে চলবে রামোৎসব। রাম মন্দির উদ্বোধন এবং এই ৭০ দিন ধরে চলা রামোৎসবের জন্য কত খরচ হচ্ছে? অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণ থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজকর্ম দেখার জন্য শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট তৈরি করা হয়েছিল ২০২০ সালে। তাদের তরফ থেকেই সমস্ত দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন ? Ram Mandir: রাম মন্দির তৈরিতে খরচ কত হলো! অক্ষয় থেকে হেমা, কত টাকা করলেন দান
অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের জন্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে পরিমাণ অর্থ শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কাছে জমা পড়েছে তা হল প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। এই টাকা থেকেই ১৮০০ কোটি টাকার রাম মন্দির নির্মাণের জন্য খরচ করা হয় এবং রাম মন্দির উদ্বোধন ও ৭০ দিনের রামোৎসব পালনের জন্য খরচ হচ্ছে আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা বলে জানা গিয়েছে। ৭০ দিনের রামোৎসব শুরু হয়েছে গত ১৪ জানুয়ারি এবং তা চলবে আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার, যেখানে রাম মন্দির তৈরি করা হয়েছে তার ২০০০ ফুট মাটির নিচে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে একটি টাইম ক্যাপসুল। তামার পাত দিয়ে তৈরি ওই টাইম ক্যাপসুল রাম মন্দির সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য বহন করবে বছরের পর বছর ধরে ভবিষ্যতের জন্য।