নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে এমন যুগ এসেছে যে দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষের কাছেই পৌঁছে গিয়েছে মোবাইল ফোন। দেশের মানুষের কাছে মোবাইল ফোন পৌঁছে যাওয়াই বেড়েছে সিম কার্ডের (Sim Card) ব্যবহার। তবে সিমকার্ড দোকান থেকে কিনলাম আর ব্যবহার করতে শুরু করলাম এমন নয়। সিম কার্ড টিকিয়ে রাখতে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। সেই রকমই এবার একটি নিয়মের কথা জানিয়ে দিল Trai।
মূলত সিম কার্ড এবং হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এমন ঘোষণা করা হয়েছে ২০২১ সালের একটি রিট পিটিশনের ভিত্তিতে। যেখানে গ্রাহকদের তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। যেখানে দাবি করা হয়েছিল, গ্রাহকদের ব্যবহৃত কোন মোবাইল নম্বর ডিসকানেক্ট অথবা ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে যাওয়ার পর তার তথ্যের অপব্যবহার হয়। সেই পিটিসনের ভিত্তিতে গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বড় ঘোষণা করে।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও এসভিএন ভাট্টি গ্রাহকদের সুরক্ষার বিষয়ে করা এই রিট পিটিশনের ভিত্তিতে পুরো বিষয়টি সামনে এনেছেন এবং সেই পিটিশন খারিজ করে দিয়েছেন। তবে এই পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতেই বেশ কিছু অজানা বিষয় সামনে এসেছে। অজানা সেই সকল বিষয়ই ট্রাইয়ের তরফ থেকে আদালতকে জানানো হয় এবং আদালতের তরফ থেকে তা ঘোষণা আকারে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে সিমকার্ড এবং হোয়াটসঅ্যাপের সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, কোন নম্বর দীর্ঘ দিন ব্যবহার করা না হলে সেই নম্বর ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেওয়া হয়। নম্বর এইভাবে ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেওয়ার সর্বোচ্চ সময়সীমা হতে পারে ৯০ দিন। তবে ৯০ দিন পার না হওয়া পর্যন্ত ওই নম্বর অন্য কোন গ্রাহককে দেয় না ট্রাই।
আবার যদি কোন ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টল এবং কোন অ্যাকাউন্ট খোলা থাকে, অথচ তা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে ৪৫ দিন পর তা ইন-অ্যাক্টিভ করে দেওয়া হয় এবং সমস্ত তথ্য মুছে দেওয়া হয়। ট্রাই এমন পদক্ষেপ ন্যায় মূলত পূর্বতন গ্রাহকের গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য।