নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং (Load Shedding) হতে দেখা যাচ্ছে। একদিকে ভাদ্র মাসের পচা গরম, তার ওপর আবার এইভাবে বিদ্যুৎ (Electricity) না থাকা নাজেহাল অবস্থা করে দিয়েছে বাসিন্দাদের। এমন পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য লোডশেডিং হলে কোন নম্বরে (Electricity Complaint Number) অভিযোগ জানাতে হবে? অনেকেই রয়েছেন যারা অভিযোগ জানানোর নম্বরই জানেন না।
গত কয়েকদিন ধরে দিন হোক অথবা রাত বিভিন্ন সময় হঠাৎ হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যেতে দেখা যাচ্ছে। আবার মধ্যরাতে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ঘুমের বারোটা বেজে যাচ্ছে সাধারণ মানুষদের। সারাদিনের কাজকর্মের ক্লান্তির পর এইভাবে লোডশেডিং রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ায় রীতিমতো তিতিবিরক্ত হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা। তারা তাদের ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সম্প্রতি বিদ্যুৎ পরিষেবায় এমন বিভ্রাট সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা বইছে। অনেকেই রয়েছেন যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছেন, আবার অনেকেই রয়েছেন যারা দাবি করছেন, ‘ঠিক যেন চাঁদে চলে এসেছি’। আর এসব নিয়েই এখন চারদিকে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা। যদিও রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফ থেকে এত ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণ জানানো হয়নি।
লোডশেডিং হলে অভিযোগ জানানোর জন্য রাজ্যের প্রতিটি জেলার প্রতিটি বিদ্যুৎ দপ্তরের শাখা অফিসের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা নম্বর রয়েছে। তবে সেই সকল নম্বর সবার আলাদা আলাদা হবে মনে রাখা অসুবিধার। যে কারণে রাজ্যব্যাপী একটি টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হয়েছে আর সেই নম্বরটিতে ফোন করেই বিদ্যুৎ পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ জানানো যেতে পারে। ওই নম্বরটি হল 19121। এটি নতুন নম্বর।
এই নম্বরে ফোন করে গ্রাহকদের প্রথম এই ভাষা বেছে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনি কোন ভাষায় কথা বলে আপনার অভাব অভিযোগ অথবা আবেদন জানাবেন তা বেছে নেওয়ার পর কেউ যদি বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ জানাতে চান তাহলে তাকে ‘১’ ডায়াল করতে হবে। আর কেউ যদি অন্যান্য অভিযোগ অর্থাৎ বিদ্যুৎ না থাকা বা অন্য কোন সমস্যা তাহলে ‘২’ ডায়াল করতে হবে। এর পাশাপাশি আপনার কাছে রাখতে হবে আপনার বিদ্যুৎ সংযোগের কনজ্যুমার নম্বর। সেই কনজ্যুমার নম্বর দেওয়ার পর আপনি আপনার পরিষেবা সংক্রান্ত কোন অভিযোগ থাকলে জানাতে পারবেন। অভিযোগ পেয়ে আপনার নিকটবর্তী বিদ্যুৎ দপ্তরের শাখা অফিসের তরফ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে যত দ্রুত সম্ভব।