অনেক হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, এবার রাজ্য কাঁপাচ্ছে এই প্রকল্প, মিলবে ১ লক্ষ টাকা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নতুন নতুন প্রকল্প (WB Government Scheme) চালু করা হয়। সেই সকল প্রকল্পগুলির মধ্য দিয়ে রাজ্যের নাগরিকদের আর্থিক থেকে স্বাস্থ্য সব রকমের সুবিধা প্রদানের প্রচেষ্টা চালায় সরকার। এই সকল প্রকল্পের মধ্যে জনপ্রিয় প্রকল্পের তালিকায় নাম লিখিয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে স্বাস্থ্য সাথী। তবে এই দুটি জনপ্রিয় প্রকল্পের থেকেও এখন বাজার কাঁপাচ্ছে রাজ্য সরকারের অন্য একটি প্রকল্প যার নাম হলো ‘নির্মাণ কর্মী প্রকল্প’। এই প্রকল্প আবার অনেকের কাছেই ‘লেবার কার্ড’ (Labour Card) নামে পরিচিত।

Advertisements

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের এই যে প্রকল্পের কথা বলা হচ্ছে সেই প্রকল্পটি মূলত নির্মাণ শিল্পীদের বা কর্মীদের জন্য। নাম দেখেই এই বিষয়ে মূল ধারণা পাওয়া যায়। তবে সবাই যে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন তাও নয়। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে নির্মাণ শ্রমিকদের অর্থাৎ যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন তাদের বেশ কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে।

Advertisements

এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে নির্মাণ শ্রমিকদের পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে, নির্মাণ শ্রমিকের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, নির্মাণ কর্মীকে বিগত বছরে অন্ততপক্ষে ৯০ দিন কাজ করে থাকতে হবে, আবেদনকারী নির্মাণ কর্মী অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মী হলে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। রাস্তা, রেল, বাড়িঘর সহজে কোন ধরনের নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত অথবা মেরামতির সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা এই প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে সকল সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

Advertisements

সুবিধা : ১) দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের ১০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
২) দেহের কোন অঙ্গে অস্ত্রোপচারের করা হলে তার জন্য ৩০০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে।
৩) দুর্ঘটনার কারণে কোন কর্মী যদি পঙ্গু হয়ে যান তাহলে তাকে আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
৪) যক্ষা রোগে আক্রান্ত হলে আর্থিক সাহায্য হিসেবে দেওয়া হয় তিন হাজার টাকা।
৫) নির্মাণ কর্মীর পরিবারের কারো চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রেও বছরে সর্বোচ্চ ১০০০০ টাকা দেওয়া হয়।

৬) প্রকল্পের আওতায় থাকা কোন নির্মাণ কর্মীর স্বাভাবিক মৃত্যু হলে তার পরিবারকে তিন হাজার টাকা দেওয়া হয় এবং যদি নির্মাণ কাজ করাকালীন মৃত্যু হয় তাহলে তার পরিবারকে দেওয়া হয় এক লক্ষ টাকা।
৭) নির্মাণ কর্মীর বয়স ৬০ বছর পার হয়ে গেলে তাকে পেনশন হিসাবে মাসে দেওয়া হয় ৮৭০ টাকা এবং তার মৃত্যু হলে তার স্ত্রী প্রতিমাসে এর অর্ধেক পেনশন পাবেন।
৮) এছাড়াও কাজের জন্য যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে এককালীন এক হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।
৯) নির্মাণ কর্মীর চশমার প্রয়োজন হলে তাকে ৫০০ টাকা দেওয়া হয়
১০) মহিলা নির্মাণ কর্মীদের গর্ববতী অবস্থায় ছয় হাজার টাকা দেওয়া হয় এবং যদি গর্ভপাতের প্রয়োজন হয় তাহলেও চার হাজার টাকা দেওয়া হয়।
১১) নির্মাণ কর্মীদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য ১৫০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
১২) কোন নির্মাণ কর্মী বাড়ি তৈরি করতে চাইলে তাকে মাত্র ৫% সুদে ৫০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়।

এছাড়াও সাইকেল কেনার জন্য ৫০০০ টাকা, নির্মাণ কর্মী মেয়েদের বিয়ের জন্য ১০ হাজার টাকা, নির্মাণ কর্মীর শেষকৃত্য সম্পন্নের জন্য তিন হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়ে থাকে। এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট নিয়ে https://edistrict.wb.gov.in/PACE/login.do অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে। এরপর সেখানে প্রয়োজনীয় যা যা করণীয় তা করে নাম নথিভুক্ত করতে হবে।

Advertisements