নিজস্ব প্রতিবেদন : কালীপুজো, ভাইফোঁটা শেষ হতেই এবার দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) উপর চোখ রাঙানি শুরু হয়েছে অতি গভীর নিম্নচাপের (Cyclonic System)। মৌসম ভবনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার কথা বলা হচ্ছিল তা ইতিমধ্যেই শক্তি সঞ্চয় করে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে। এমনকি এই সিস্টেম ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
যদিও হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই সাইক্লোনিক সিস্টেমের ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার তেমন কোন আশঙ্কা নেই। ঘূর্ণিঝড়ের বদলে এই সিস্টেম অতি গভীর নিম্নচাপ রূপে আছড়ে পড়বে উপকূলবর্তী অঞ্চলে। তবে যদি এই সিস্টেম ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তাহলে এর নাম হবে মিধিলি। বর্তমানে গভীর এই নিম্নচাপ অবস্থান করছে বঙ্গোপসাগরে।
বঙ্গোপসাগরে থাকা এই সিস্টেম বৃহস্পতিবার অন্ধ্র উপকূলে শক্তি সঞ্চয় করে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরে তা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক খেয়ে শুক্রবার ওড়িশা লাগোয়া উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের কাছে পৌঁছাবে এই নিম্নচাপ। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে পাওয়া শেষ আপডেট থেকে জানা যাচ্ছে, এই সিস্টেম এখন দিঘা থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে দূরে অবস্থান করছে।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই সিস্টেম আগামী ১৮ নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার বাংলাদেশের মঙ্গলা এবং খেপুপাড়ার মাঝখানে থাকা ভূভাগে প্রবেশ করবে। এই সিস্টেম যদি অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয় তাহলে বাতাসের তীব্রতা বাড়বে এবং বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ৪০ থেকে ৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইতে পারে। দমকা হওয়ার গতিবেগ পৌঁছে যেতে পারে ঘন্টায় ৭০ কিলোমিটারে। তবে ১৮ তারিখ অর্থাৎ এই সিস্টেম ভূভাগে প্রবেশ করার দিন ঝড়ের গতিবেগ কমতে পারে।
আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার অর্থাৎ ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। এই দুই জেলা ছাড়াও হালকা বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, হাওড়া এবং হুগলিতে। শুক্রবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়বে। অন্যদিকে শনিবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী এই ১১ জেলা ছাড়া বাকি জেলা শুষ্ক থাকবে।