নিজস্ব প্রতিবেদন : এক জায়গার সঙ্গে অন্য জায়গা রেলপথে জুড়ে যাওয়া মানেই এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের সময় কমে যাওয়ার পাশাপাশি খরচও অনেক কমে যায়। ঠিক সেই রকমই প্রতীক্ষায় রয়েছে রাজ্যের তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলওয়ে প্রজেক্ট (Tarakeswar-Bishnupur Railway Project)। কেননা এই প্রজেক্টের কাজ শেষ হলেই অনেক কম সময়ের মধ্যে শিবতীর্থ তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর পৌঁছে যাওয়ার পাশাপাশি খরচও অনেক কমে যাবে।
বর্তমানে তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর অথবা বিষ্ণুপুর থেকে তারকেশ্বর যুক্ত করার জন্য কোন রেললাইন নেই। যে কারণে পর্যটক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষদের বাসে যাতায়াত করতে হয়। বাসে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে যাত্রীদের ভাড়া লাগে অন্ততপক্ষে ১৫০ টাকা। কিন্তু এই দুই জায়গা রেলপথে যুক্ত হয়ে গেলেই মাত্র ৩০ টাকাতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে যাওয়া যাবে। তবে প্রশ্ন হলো কবে এই রেলওয়ে প্রজেক্ট এর কাজ শেষ হবে?
ভারতীয় রেলের (Indian Railways) পূর্ব রেলওয়ের (Eastern Railway) তরফ থেকে এই প্রকল্প দ্রুত শেষ করার জন্য চরম তৎপরতা শুরু হয়েছে। রেলের তরফ থেকে সমস্ত অনুমোদন পাওয়া গেলেও কিছু জমি জট এই প্রকল্পের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে সেই জট যাতে দ্রুত শেষ করা যায় তার জন্য তৎপরতার সঙ্গে কাজ চলছে। পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রজেক্টের ৮৭ কিলোমিটার রেলপথের অধিকাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে।
পাশাপাশি তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জমি জটের কারণে যে সকল অংশের কাজ এখনো বাকি রয়েছে সেই কাজ দ্রুত সেরে ফেলার জন্য ভারতীয় রেলের তরফ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের কাজও চালানো হচ্ছে। আর এমন পরিস্থিতিতে রেলের তরফ থেকে আশা করা হচ্ছে ২০২৫ সালের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ রেলের তরফ থেকে শেষ করে ফেলা হবে।
এই রেল প্রজেক্টের অনুমোদন পাওয়া গিয়েছিল ২০০১ সালে। সেই অনুমোদনের পর তারকেশ্বর থেকে গোঘাট পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন এবং সেই পথে এখন ট্রেন চলাচল করে। আবার বিষ্ণুপুর থেকে ময়নাপুর পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার রেলপথের কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে এবং সেখানেও ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু মাঝের ২১ কিলোমিটার মতো রেলপথের কিছু অংশের কাজ নানা কারণে আটকে রয়েছে। আর এই কাজ ২০২৫ সালের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে এবং রাজ্যের বাসিন্দারা নতুন উপহার পাবেন।