নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় নাগরিকদের অধিকাংশই কাজ অথবা ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি নির্ভর করেন ট্রেনের (Train) উপর। অনেক কম খরচ এবং অনেক স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তায় যাতায়াত করতে পারার কারণেই ট্রেনের উপর সাধারণ যাত্রীদের নির্ভরশীলতা লক্ষ্য করা যায়। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই প্রতিদিন দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ রেলের উপর নির্ভর করে যাতায়াত করেন। দেখতে দেখতে ভারতীয় রেল (Indian Railways) এখন হয়ে উঠেছে গণপরিবহনের লাইফ লাইন।
ভারতীয় রেলের চাহিদা যেমন দিন দিন বাড়ছে ঠিক সেই রকমই রেলের তরফ থেকেও তাদের পরিষেবা বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এছাড়াও নতুন নতুন ট্রেন থেকে শুরু করে পরিষেবা প্রদানের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। ঠিক সেই রকমই এবার পর্যটন শিল্প এবং ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অন্যান্য সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য চালু হতে চলেছে ভারত ভুটান রেল পরিষেবা (India Bhutan Rail Service)।
ভুটানে এখনো পর্যন্ত কোন রেল পরিষেবা নেই। ভারতীয় রেলের হাত ধরেই ভুটানের প্রথম রেল পরিষেবার জাল ছড়িয়ে পড়বে। ভারতীয় রেলের তরফ থেকেও এই প্রথম আন্তর্জাতিক স্তরে কোথাও পরিষেবা প্রদান করা হবে। মূলত অসমের সঙ্গে ভুটানের রেল যোগাযোগ তৈরি হবে। ভুটানের সঙ্গে অসমের রেল যোগাযোগ তৈরি হলেই রেলপথে ভারতের অন্যান্য অংশের সঙ্গে জুড়ে যাবে ভুটান।
আন্তর্জাতিক স্তরে রেল পরিষেবা পৌঁছে দিতে ভারত সরকার, ভারতীয় রেল এবং ভুটান সরকারের মধ্যে আলোচনা হয়। সেই মতো ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে শুরু হয়েছে জমি জরিপের কাজ। যে রেললাইন তৈরি করা হবে, সেটি অসমের কোকরাজার থেকে ভুটানের গেলফু পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। ভারত এবং ভুটানকে রেলপথে জুড়ে দেওয়ার জন্য এই দুই রেল স্টেশনের মধ্যে মোট ৫৭ কিলোমিটার রেললাইন পাতা হবে।
ভারত এবং ভুটানের মধ্যে যে রেল যোগাযোগ তৈরি হবে তার দায়িত্বে থাকবে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। যে রেললাইন তৈরি করার কাজ করা হবে অথবা যার কাজ ইতিমধ্যেই প্রাথমিকভাবে শুরু হয়ে গিয়েছে তা ভারতীয় রেলের অর্থানুকূলে হবে। অন্যদিকে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ভারত এবং ভুটানের মধ্যে এই রেল পরিষেবা শুরু হতে এখনো বেশ কয়েক বছর সময় লাগবে। কেননা এই কাজ শেষ হতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হওয়ার পরই পরিষেবা প্রদান করবে রেল।