নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর জানুয়ারি মাসের শেষেও আপাতত দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) অধিকাংশ জেলাতেই বজায় রয়েছে শীতের (Winter) আমেজ। রবিবার সকাল পর্যন্ত শীতের আমেজ ভালোভাবেই পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতে। এমন শীতের আমেজ এখনো দুদিন পাওয়া যাবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। তবে এরই সঙ্গে সঙ্গে শীতকে বিদায় (Farewell of Winter) জানাতে হবে বলেও শুরু হয়েছে জল্পনা।
রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি কম। বীরভূমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি কম। পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি কম। বাঁকুড়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি কম।
তবে এরই মধ্যে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে নতুন করে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং নদীয়া জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। জানুয়ারি মাসের শেষ দিন এবং ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই এই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির এমন পূর্বাভাসের ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাপমাত্রার পারদ কিছুটা হলেও চড়বে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি শুরু হয়ে যেতে পারে সোমবার থেকেই।
আরও পড়ুন ? Rainfall latest Update: রবিবার থেকেই রাজ্যে ফের দেখা মিলবে বৃষ্টির, দেখে নিন কোন কোন জেলায়
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে এবং সেই বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের কারণেই এমন বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবং তার ফলেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। মূলত বিপরীত এই ঘূর্ণাবর্ত্যের কারণে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প প্রবেশ করেছে রাজ্যে। সেই জলীয়বাষ্পই বৃষ্টির আকারে নেমে আসবে, তবে বৃষ্টির পরিমাণ থাকবে খুবই সামান্য।
জানুয়ারি মাসের শেষে ও ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে বৃষ্টির আশঙ্কা এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি শীত বিদায়ের জল্পনা তৈরি হয়েছে। কেননা ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে যতবার বৃষ্টি হয়েছে ততবার বৃষ্টির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও বৃষ্টি শেষে তরতড়িয়ে নেমেছে তাপমাত্রার পারদ। কিন্তু নতুন করে যে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তার পর আর তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে হাওয়া অফিসের। যদিও তাদের তরফ থেকে এখনই কিছু জানানো হয়নি, পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে মনে করা হচ্ছে এবার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার পর ধীরে ধীরে শীতকে বিদায় জানাতে হবে আর সেই বিদায়ের ঘন্টা বেজে যাবে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই।