Car Parking During Puja: দোরগোড়ায় চলে এসেছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এই সময় যারা প্যান্ডেল হপিংয়ে বের হন তাদের মাথায় সবথেকে বড় চিন্তা হলো গাড়ি পার্কিং। কিন্তু পুজোর সময় ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না সাধারণ মানুষকে। নিজেদের আওতাধীন এলাকায় এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি দিতে বিধাননগর কমিশনারেট নিয়ে এসেছে বিশেষ উদ্যোগ।
এবার পুজোতে গাড়ি পার্কিং নিয়ে আর সমস্যায় পড়তে হবে না সাধারণ মানুষকে। ঘরে বসেই দেখে নিতে পারবেন পার্কিং লটের ঠিকানা (Car Parking During Puja)। সল্টলেক, নিউ টাউন, বাগুইআটি, কেষ্টপুর, লেকটাউন এলাকায় ঠাকুর দেখতে বেরোনোর আগেই জেনে নিন কোথায় আপনার গাড়ি পার্কিং করবেন। সৌজন্যে, কিউআর কোড। বিধাননগর কমিশনারেটের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও ওই কিউআর কোড পোস্ট করা হয়েছে, সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়।
অফিসিয়াল পেজে যে কিউআর কোড থাকবে তার নীচে লেখা থাকবে, ‘ফাইন্ড ইওর পার্কিং স্পট’। বিধাননগর কমিশনারেটের ট্র্যাফিক বিভাগের এক কর্তা বলেন, বেশিরভাগ গাড়ি চালক বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন। তাই কিউআর কোড এর মাধ্যমে পার্কিং লট (Car Parking During Puja) খুঁজে পেতে আশা করি অসুবিধা হবে না। বিধাননগর কমিশনারেটের কর্তারা এই বিষয়ে যথেষ্টই আশাবাদী।
আরো পড়ুন: গভীর রাতের মেট্রো পরিষেবা, পুজো উপলক্ষে বদলালো নিয়ম
গাড়ি চালকেরা বাড়িতে বসেই কিউআর কোড স্ক্যান করলেই সল্টলেক, নিউ টাউন, কেষ্টপুর, লেকটাউন, বাগুইআটি, কেষ্টপুর, রাজারহাটের পুজো প্যান্ডেলের আশপাশে পার্কিং লটগুলি (Car Parking During Puja) পেয়ে যাবেন খুব সহজেই। ইংরেজির ‘পি’ অক্ষর দিয়ে মার্ক করে রাখা হয়েছে পার্কিং লটগুলিকে। সেই জায়গাতে ক্লিক করেলেই, কোথায় গাড়ি পার্ক করা যাবে, যে জায়গায় গাড়ি চালক রয়েছেন, পার্কিং লটের দূরত্ব সেখান থেকে কতটা, আশপাশে ক’টি পুজোর মণ্ডপ রয়েছে, কত গাড়ি রাখা যাবে এবং কত গাড়ি রয়েছে সে বিষয়ে সব জানতে পারবেন।
একটি হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া হয়েছে গাড়ির চালকদের সুবিধার জন্য। গাড়ি চালকরা যাতে কোনরকম সমস্যার সম্মুখীন না হন তার জন্য পার্কিং লটে থাকবে ট্রাফিক পুলিশ। দুর্গাপুজোর মণ্ডপের আশপাশে অনেকেই এলোমেলো ভাবে গাড়ি পার্কিং করে, সেই সমস্যা যাতে না হয় তা দেখার অনুরোধ করেছিলেন বেশ কিছু পুজোর উদ্যোক্তারা। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হবে এইসব সমস্যার সমাধানের জন্য। বিধাননগর কমিশনারেটের ট্র্যাফিক বিভাগের এক কর্তা এমনটাই জানিয়েছেন।