ভূমিকম্পও টলাতে পারবে না, ১০০০ বছরেও থাকবে অক্ষত! এই আশ্চর্য প্রযুক্তিতে তৈরি রাম মন্দির!

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের রায় জানিয়ে দেয়, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে তৈরি হবে রাম মন্দির (Ram Mandir)। সুপ্রিম কোর্টের এমন রায়ের পর থেকেই শুরু হয় তোরজোড় এবং এখন রাম মন্দিরে রামলালার মূর্তি স্থাপন এবং উদ্বোধনের অপেক্ষা। অযোধ্যার রাম মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে যতটাই মানুষের মধ্যে কৌতুহল, তার থেকেও কয়েকগুণ কৌতুহল তৈরি হচ্ছে নতুন রাম মন্দির নিয়ে। কেননা নতুন এই রাম মন্দিরে যে প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে বা হয়েছে তা যে কাউকেই অবাক করে দিতে পারে।

Advertisements

২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভক্তদের জন্য রাম মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে এমনটাই জানা যাচ্ছে রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। রাম মন্দিরের দরজা উন্মোচনের দিন দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাবর তাবর নেতা মন্ত্রীদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন শিল্পমহলের বিশিষ্টজনেরাও। উপস্থিত থাকতে পারেন মুকেশ আম্বানি থেকে শুরু করে অন্যান্য সেলিব্রেটিরাও। কেননা তাদের কাছে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে আমন্ত্রণপত্র।

Advertisements

রাম মন্দির নিয়ে এত আলোচনা, কৌতূহলের মধ্যেই এই মন্দিরের স্থায়িত্ব নিয়ে এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ সেই বিষয়টি থেকেই জানা যাচ্ছে, ১০০০ বছরেও এই মন্দিরের গায়ে কোন আঁচড় পড়বে না। মন্দিরটি এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে যাতে করে ১০০০ বছর পর্যন্ত সংস্কারের কোন প্রয়োজন হবে না। এমনকি ৬.৫ রিখটার স্কেল অর্থাৎ বড় ধরনের ভূমিকম্প হলেও এই মন্দিরের কোন অংশ টলাতে পারবেনা।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Ayodhya Ram Mandir: চাকরির দরকার নেই! রাম মন্দিরের পুরোহিত হতে পারলেই মাসে মাসে মিলবে হাজার টাকা

মন্দিরকে এইভাবে দীর্ঘস্থায়িত্ব দেওয়ার জন্য বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। অযোধ্যার রাম মন্দির তৈরি করা হয়েছে মূলত পিঙ্ক স্যান্ড স্টোন দিয়ে। এর পাশাপাশি মন্দির তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে উন্নতমানের স্টিল, গ্রানাইট মার্বেল ইত্যাদি। মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে এখনো যে সকল জায়গা বাকি রয়েছে সব ক্ষেত্রেই এইসব জিনিসপত্র ব্যবহার করা হবে। মন্দির নির্মাণের জন্য প্রতিটি জিনিসপত্র নিখুঁতভাবে পরীক্ষা করেছেন আইআইটির বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়াররা।

তবে এখানেই শেষ নয়, মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যেখানে জোর দেওয়া হয়েছে সেটি হল ভিত্তিপ্রস্তর। যেখানে ৪৭ টি স্তর তৈরি করা হয়েছে। এই সকল স্তর মাটি এবং সিমেন্ট দিয়ে তৈরি হলেও ব্যবহৃত ওই মাটির মধ্যেই রয়েছে আসল জাদু। কেননা যে মাটি ব্যবহার করা হয়েছে সেই মাটি ২১ দিনের মধ্যে পাথরে হয়। স্বাভাবিকভাবেই তা সহজে ভেঙে ফেলা একপ্রকার অসম্ভব। মন্দির তৈরির জন্য যেসব প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে তা বর্তমান অত্যাআধুনিক যুগকেও অবাক করছে।

Advertisements