নিজস্ব প্রতিবেদন : একজন টলিউড অভিনেত্রী থেকে রাতারাতি রাজ্যের শাসকদলের যুব সভা নেত্রী হয়ে ওঠে সবার নজর কেড়েছেন সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। এই অভিনেত্রী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই পান বিধানসভার টিকিট। যদিও তাতে জয়যুক্ত হতে পারেন নি, তবে দল তাকে নিরাশ না করে দেয় যুব তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ পদ। তৃণমূলে এমন বড় জায়গা পাওয়ার পর তাকে বিভিন্ন জায়গায় সভা করে মঞ্চ কাঁপাতে দেখা যাচ্ছে।
ভোট আসুক অথবা অন্য কোন ক্ষেত্রে এখন যে সকল তারকা প্রচারকরা রয়েছেন তাদের মধ্যে সায়নী ঘোষ অন্যতম একজন তারকা প্রচারক। যে কারণে দলের হয়ে অধিকাংশ সময় তাকে বিভিন্ন জায়গায় প্রচারে যেতে হয়। যে সকল জায়গায় তিনি প্রচারে যান সেই সকল অধিকাংশ জায়গাতেই নিজের ভাষণে ঝড় তোলেন। তার মুখে এই সকল ভাষণ শুনে দর্শকাসনে বসে থাকা তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হইহুল্লোড়ের শেষ থাকেনা।
সায়নী ঘোষ যেভাবে সুন্দর, সুচারু এবং দক্ষতার সঙ্গে ভাষণ দেন ও দলের নেতা কর্মীরা যেভাবে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তার ভাষণ শোনেন তাতে অনেকেই মনে করেন, বক্তব্য দেওয়ার নিরিখে তিনি আগামী দিনে মমতা ব্যানার্জিকেও ছাপিয়ে যেতে পারেন। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে বরাবরই সায়নী ঘোষ একজন সুবক্তা হিসাবে পরিচিত। এর পাশাপাশি নজর কাড়ে তার স্মার্টনেস।
সায়নী ঘোষ নিজের ভাষণে নজর কেড়ে নেন সেই সকল ব্যক্তিদেরও যারা ঘোর তৃণমূল বিরোধী। তিনি যখন মঞ্চে ভাষণ দেন সেই সময় দেখা যায় তার তির্যক কটাক্ষে বিরোধীদের তাবর তাবর নেতাদেরও নাজেহাল হতে। এই যেমন ধরুন ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর শিলিগুড়িতে বক্তব্য রাখার সময় বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করে তিনি ভাষণে বলেন, ‘জাত গোখরো রয়েছে, জাত গোখরো ঘরে ঘরে ঢুকে যাবে। মিঠুনদাকে আমি বলব, যেকোনো জাত গোখরোর জন্য বাংলার মায়েদের ঘরে ঘরে কার্বলিক অ্যাসিড তৈরি আছে।’ এর পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একেবারে গান গেয়ে তাকে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল। যেখানে তিনি গেয়েছিলেন, ‘ছুঁয়ো না ছুঁয়ো না, দেখো ছুঁয়ো না।’
এখন প্রশ্ন হল সায়নী ঘোষ যে এই সকল বড় বড় ডায়লগ দেন সেগুলি কার লেখা? দেশে যে সকল বড় বড় নেতা রয়েছেন তাদের বহু নেতার ভাষণ লেখার জন্য রয়েছেন আলাদা এক একজন ব্যক্তি। যে সকল ব্যক্তিদের পিছনে বিপুল টাকা খরচ করা হয়। তাহলে কি সায়নী ঘোষের এই সকল ভাষণ লেখার জন্য আলাদা করে কেউ রয়েছেন? সায়নী ঘোষের ভাষণ লেখার জন্য আলাদা করে কেউ নেই এমনটাই জানা গিয়েছে। তিনি যখন মঞ্চে বক্তব্য রাখেন তখন তার মধ্যে যা আসে তা তিনি উগরে দেন। তবে অবশ্যই এই সকল ভাষণ দেওয়ার আগে সামান্য প্রস্তুতি নিয়েই মঞ্চে উঠতে হয়।