Diesel Bike : বর্তমানে পেট্রোল ও ডিজেলের দামের পার্থক্য খুব বেশি নেই। তবে একটা সময় পেট্রোলের থেকে অনেকখানি সস্তা ছিল ডিজেল। কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন আপনার সাধের মোটরবাইকটি কেন পেট্রোলেই চলে? কেন ডিজেল দিয়ে চালানো হয় না মোটরবাইক? যদিও এমনটা নয় যে ডিজেল চালিত মোটরবাইক ছিল না। তবে এখন সে সব কার্যত ইতিহাস হয়ে গিয়েছে। ২০-৩০ বছর আগে অ্যাম্বাসাডর যে সমস্ত মোটর বাইক বানাত, সেগুলি ডিজেলেই চলত। ছিলও বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু এখন সেসব অতীত।
বাইক ডিজেলের পরিবর্তে পেট্রোল দিয়ে চালানোর কারণ রয়েছে অনেক। বাইকের ডিজাইন এবং ইঞ্জিন এমন ভাবে তৈরি করা হয়, যেগুলি পেট্রলেই চলতে পারে। পেট্রোলের পরিবর্তে যদি আপনি যদি ডিজেলে বাইক চালাতে চান, তাহলে আপনার বাইকের চাকা আর গড়াবে না। যদি ভুল করেও আপনার বাইকের ফুয়েল ট্যাংকে ডিজেল ভরে ফেলেন, তাতে বাইক চলবে না। যতক্ষণ না সেখানে পেট্রোল ভরা হচ্ছে, ততক্ষণ স্টার্ট হবে না বাইকের ইঞ্জিন।
কিন্তু কেন ডিজেল দিয়ে বাইক চালানো সম্ভব নয়? আসলে পেট্রোলের থেকে ডিজেলের ঘনত্ব অনেক বেশি। যে কারণে ডিজেল দহন করার জন্য ইঞ্জিনে অনেক বেশি চাপ দিতে হয়। তবে বাইকের ইঞ্জিনে সেই চাপ দেওয়ার সামর্থ্য থাকে না। ঠিক একই কারণে পেট্রোলের পরিবর্তে যদি বাইকে ডিজেল ভরা হয়, তাহলে বাইকের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। ডিজেল ইঞ্জিনের চাপের অনুপাত পেট্রোল ইঞ্জিনের চাপের অনুপাতের থেকে বেশি হয়। এটিও একটি বড় কারণ ডিজেল দিয়ে বাইক না চলার।
ডিজেল চালিত ইঞ্জিনগুলিতে শব্দ এবং কম্পন বেশি হয়। সেই শব্দ সহ্য করার ক্ষমতা থাকে না বাইকের ইঞ্জিন গুলিতে। যার ফলে বাইকের ইঞ্জিন কাজ করা বন্ধ করে দেয়। অন্যদিকে ডিজেল অনেক উচ্চচাপে কাজ করে। যে কারণে ডিজেল চালিত ইঞ্জিনগুলি তাড়াতাড়ি ব্রেক ডাউন হয়ে যায়। ফলে ডিজেল চালিত ইঞ্জিন গুলির ইঞ্জিন অয়েল ৫০০০ কিলোমিটার হওয়ার পরেই পরিবর্তন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেখানে পেট্রোল চালিত ইঞ্জিন গুলির ইঞ্জিন অয়েল ৬০০০ থেকে ৮০০০ কিলোমিটার পরে পরিবর্তন করতে বলা হয়।
তবে আপনি যদি ভুল করে আপনার ভাইকে পেট্রোলের পরিবর্তে ডিজেল ভরে ফেলেন, তাহলে কি করবেন? চিন্তা নেই, সামান্য এই কাজটুকু করলেই আপনার বাইক মাখনের মত স্টার্ট হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে ভুল করে যদি আপনি বাইকে ডিজেল ভরে ফেলেন, তাহলে আপনার বাইকের ইঞ্জিন স্টার্ট হবে না। যদি স্টার্ট হয়, আপনাকে বুঝতে হবে বাইকে তখনো পেট্রোল অবশিষ্ট আছে। তাই পেট্রোল যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণ বাইকের ইঞ্জিন চালিত থাকবে। এরপরই বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে বাইকে ভুল করে ডিজেল ভরে ফেললে, সেই ফুয়েল আপনাকে ফুয়েল পাইপের সাহায্যে বের করে ফেলতে হবে। তারপর আবার সেই জায়গায় ভর্তি হবে পেট্রোল। তাহলেই আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে আপনার বাইক। ইঞ্জিনেও খুব বেশি ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে না।