নিজস্ব প্রতিবেদন : দেড়শ কোটি দেশে ভারতীয় নাগরিকদের কাছে গণপরিবহনের মেরুদন্ড হলো রেল পরিষেবা। প্রতিদিন দেশের ৫০ লক্ষের মানুষ রেল পরিষেবার উপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। যাতায়াতের ক্ষেত্রে ট্রেনে বিভিন্ন ধরনের শ্রেণী রয়েছে। সাধারণ কামরা থেকে শুরু করে এসি কামরায় যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারেন।
তবে প্রতিদিন ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ ট্রেনের উপর নির্ভর করে যাতায়াত করলেও ট্রেনের বিভিন্ন নিয়ম এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। যেমন বছরের যে কোন সময় এসি কামরায় যাতায়াত করার ক্ষেত্রে যাত্রীদের একই ভাড়া বহন করতে হয়। শীতকাল বলে কম ভাড়া দিতে হবে এমন নিয়ম নেই। অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন, শীতকালে কামরা ঠান্ডা করার প্রয়োজন হয় না তাহলে কেন একই ভাড়া নেওয়া হয়!
প্রায় প্রত্যেক যাত্রীরই জানা রয়েছে, ট্রেনে সাধারণ কামরা অথবা স্লিপার কামরার তুলনায় এসি কোচে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি ভাড়া গুনতে হয়। ট্রেনের এই এসি কোচ আসলে Air Cooled নয়। ট্রেনের এই AC কোচে আসলে Air Conditioned থাকে। এই কোচগুলি গ্রীষ্মকালে যেমন ঠান্ডা থাকে ঠিক তেমনি আবার শীতকালে গরম থাকে। প্রতিটি মরশুমেই কোচের ভিতরের তাপমাত্রা একই রকম রাখা হয়।
গ্রীষ্মকালে যখন বাইরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী বা তার বেশি থাকে সেই সময় ভেতরের তাপমাত্রা থাকে ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে প্রবল সিতে বাইরের তাপমাত্রা ০ ডিগ্রিতে নেমে গেলেও ট্রেনের এসি কোচের তাপমাত্রা থাকে ১৭ থেকে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যে কারণে শীত গ্রীষ্ম যেকোনো সময় ট্রেনের এসি কামড়ায় যাতায়াত করার ক্ষেত্রে সমান আরাম উপভোগ করে থাকেন যাত্রীরা।
গ্রীষ্মকালে যেমন কোচ ঠান্ডা রাখার জন্য এসি চালানো হয় ঠিক তেমনি আবার শীতকালে কোচ গরম রাখার জন্য হিটার চালানো হয়। রুমের ভিতর ব্লোয়ার চলার কারণে কোচ গরম থাকে। ট্রেনের এসিতে থাকা এই হিটারটি বিশেষ ধরনের হয়ে থাকে।