Kolkata Agartala new train route will take only 6 hours: ভারতীয় রেল যাত্রীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য দিনে দিনে নিজেকে আরও উন্নত করে তুলছে। দেশের বহু রুটেই চালু হয়েছে সেমি হাই স্পীড ট্রেন। নতুন করে পাতা হয়েছে অনেক রেল রুট। তেমনই এক উদ্যোগ হল কলকাতা থেকে আগরতলা রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। আগে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি চিকেন নেক করিডর ঘুরে আগরতলা যেতে হলে সময় লাগত একদিন। তবে এখন ট্রেনে করে কলকাতা থেকে আগরতলা যাওয়া যাবে মাত্র ছয় ঘন্টায়। যাত্রীদের জন্য এর থেকে বড় সুখবর আর হতে পারে না। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ চালু হলেই কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে আগরতলা যেতে আর বেশিক্ষণ সময় লাগবে না যাত্রীদের (Kolkata Agartala Train Route)।
এরফলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নতি হবে বলেই আশা করা যাচ্ছে। পাশাপাশি বাণিজ্য বৃদ্ধির একটি পথ প্রশস্ত হবে। কবে থেকে চালু হবে এই রেলপথ? আগামী সেপ্টেম্বরেই হয়তো চালু হবে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি (Kolkata Agartala Train Route)। স্বাভাবিকভাবেই সড়কপথে পণ্য পরিবহণে কিন্তু খরচ বেশি হয়, এছাড়া সময়ও বেশি লাগে। কিন্তু রেলে এই দুটো জিনিসের সাশ্রয় হয়।
ব্রিটিশ আমলে আগরতলার সঙ্গে আখাউড়ার সরাসরি যোগ থাকলেও ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তাতে ছেদ পড়ে। এরপর ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ আলাদা হবার পর পরবর্তী পাঁচ দশকেও লাইনটি কিন্তু আর চালু হয়নি। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারি পর্যায়ে এই রেল নেটওয়ার্কটি পুনরায় চালু বিষয়ক একটি মউ (মেমোরন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং) স্বাক্ষরিত হয়। তার আওতায়ই শুরু হয়েছে এই লাইনটি পুনর্গঠন ও পুনঃস্থাপনের কাজ।
বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন অবশ্য কথা দিয়েছেন আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের উদ্বোধন হবে (Kolkata Agartala Train Route)। তিনি আরো বলেন, রেলপথ প্রকল্পের কাজ হয়তো আগামী জুন মাসে শেষ হবে। ট্রায়াল শেষে সেপ্টেম্বরেই ভারত-বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রী এই রেলপথটি উদ্বোধন করবেন।
আশা করা যাচ্ছে, আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা রুটের রেলে যেসব যাত্রী পরিবহণ করে তাদের অন্তত ১০ ঘণ্টা সময় বেঁচে যাবে। বর্তমানে এই রুটে যেসব যাত্রী চলাচল করে তাদের আগরতালা থেকে কলকাতা যেতে সময় লাগে ৩১ ঘণ্টা। কিন্তু আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতা যেতে মাত্র ছয় ঘণ্টা সময় লাগবে। অর্থাৎ আগরতলা-ঢাকা দুই ঘণ্টা আর ঢাকা-কলকাতা চার ঘণ্টা। এটি সম্ভব হচ্ছে পদ্মাসেতুর সুফলে। সব ঠিক থাকলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগের পথ সহজেই সুগম হবে