নিজস্ব প্রতিবেদন : রেল পরিষেবা ভারতীয় নাগরিকদের কাছে গণপরিবহনের লাইফ লাইন। রেল পরিষেবার এমন গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। আর সেই নতুন নতুন পরিকল্পনার ফলপ্রসূ হিসাবেই এখন রেল ট্র্যাকে ছুটছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থেকে শুরু করে অমৃত ভারত এক্সপ্রেস।
তবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হোক অথবা অমৃত ভারত এক্সপ্রেস, এই সকল ট্রেন আগামী দিনে অতীত হতে চলেছে। কেননা এই সকল ট্রেন ভারতীয়দের মন জয় করার পর এবার ভারতীয়দের মন জয় করতে আসতে চলেছে বিদেশি ধাঁচের বুলেট ট্রেন (Bullet Train)। ইতিমধ্যেই বুলেট ট্রেনের হাইস্পিড করিডোর হিসাবে মুম্বাই-আমেদাবাদ রুটকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই একটি রুটেই থেমে থাকছে না ভারতীয় রেল। ভারতীয় রেলের থেকে এর থেকেও বড় খবর পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয়দের জন্য।
ভারতীয় রেলের বুলেট ট্রেনের আগামী দিনের যে গোল্ডেন রুট রয়েছে সেই সকল গোল্ডেন রুটে মুম্বাই-আমেদাবাদ রুট ছাড়াও আরও তিনটি রুট রয়েছে। আর এই তিনটি গোল্ডেন রুটের মধ্যে একটি আবার রয়েছে কলকাতায়। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের যে পরিকল্পনা রয়েছে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশ্বমানের বুলেট ট্রেন আগামী দিনে পাবে তিলোত্তমাও। এমনকি পরিকল্পনা থেকে জানা যাচ্ছে, এই বুলেট ট্রেন হাওড়া স্টেশনের ওপর দিয়েও ছুটতে পারে।
আরও পড়ুন ? Terminal of Bullete Train: চটজলদি দেখে নিন দেশের বুলেট ট্রেনের স্টেশনের প্রথম ঝলক
রেলমন্ত্রীর যে পরিকল্পনা রয়েছে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কোন কোন রুটে বুলেট ট্রেন আগামী দিনে পথ চলা শুরু করবে? ইতিমধ্যেই মুম্বাই থেকে আমেদাবাদ রুটের বুলেট ট্রেনের কাজ চলছে। এমনকি সেই কাজ এতটাই এগিয়ে গিয়েছে যে খুব তাড়াতাড়ি হয়তো ভারতীয়রা বুলেট ট্রেনের দেখা পাবেন। তবে এই রুটটি ছাড়াও একটি রুট হতে পারে কলকাতা থেকে দিল্লি, মুম্বাই থেকে চেন্নাই এবং আরেকটি রুট হতে পারে মুম্বাই থেকে দিল্লি।
মুম্বাই থেকে দিল্লি রুটে পড়বে মোট ১৪০২ কিলোমিটার। অন্যদিকে কলকাতা থেকে দিল্লী যে রুটের পরিকল্পনা করা হচ্ছে তার আওতায় আসবে ১৪৭৪ কিলোমিটার। অন্যদিকে মুম্বাই থেকে চেন্নাই রুটে বুলেট ট্রেন কভার করবে ১৩১৭ কিলোমিটার। চতুর্ভুজের আকারে দেশের চারটি রাজধানীকে বুলেট ট্রেনের মাধ্যমে জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে রেল মন্ত্রীর। তবে এর পাশাপাশি বুলেট ট্রেনের মাধ্যমে আরও বেশকিছু রুট নিয়েও চলছে সমীক্ষা। সেই সকল রুটগুলি হল দিল্লি-বারাণসী, দিল্লি-আহমেদাবাদ, মুম্বই-নাগপুর, মুম্বই-হায়দরাবাদ, চেন্নাই-বেঙ্গালুরু-মহীশূর, দিল্লি-চণ্ডীগঢ়-অমৃতসর এবং বারাণসী-হাওড়া। তবে এই পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা একদিকে যেমন ব্যয়বহুল ঠিক সেই রকমই সময় সাপেক্ষ। যে কারণে এর বাস্তবায়ন দেখতে ভারতীয়দের আরও কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হতেও পারে।