Kolkata Metro: কলকাতা মেট্রো হল তিলোত্তমা নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিবহন ব্যবস্থা। সম্প্রতি মেট্রো কর্তৃপক্ষ নিলেও এক বিশেষ রকমের পদক্ষেপ। নিয়োগ করা হলো প্রাথমিক ড্রাইভের পর স্পেশাল টিম। ঈদের প্রধান কাজ হলো ‘উল্টো রুটের’ যাত্রীদের ধরা। কলকাতা মেট্রোর তরফে একটি বিশেষ দল গঠন করা হলো ১৪ জনের। প্রতিনিয়ত হচ্ছে প্রচুর উল্টো রুটের যাত্রীদের ধরপাকড়। মেট্রো সূত্রে খবর, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রুটের হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড অংশে প্রত্যেকদিন হাতেনাতে ধরা পড়ছে প্রায় ৪০ জন যাত্রী।
আসলে এখনো পর্যন্ত কলকাতা মেট্রোর সম্পূর্ণরূপ চালু হয়নি। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বহু মানুষ উল্টো রুটের মেট্রোয় বসে সফর করছিলেন। যা একেবারেই আইনত অপরাধ। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বিভিন্ন যাত্রীদের বসে-বসে যাওয়ার এই প্রবণতার খবর প্রকাশিত হয়েছিল গত ৩০ অক্টোবর। তারপর থেকেই কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে বিষয়টি তদারকি করার জন্য।
আরো পড়ুন: ভোল বদলে হাওড়া স্টেশন! তৈরি হতে চলেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম, সাথে সম্প্রসারণ আরো ২টি লাইনের
ধরুন কোন যাত্রীর গন্তব্যস্থল হয়তো এসপ্ল্যানেড কিন্তু হাওড়া স্টেশন থেকে সে দিকের মেট্রোর বদলে উল্টোদিকে হাওড়া ময়দানের মেট্রোয় উঠে পড়ছেন তাঁরা। এর আসল কারণ হলো বসে বসে যাত্রা করা। আসলে একই মেট্রো রেক ফেরার ফলে কিছুক্ষণ সময় নষ্ট করে এইসব যাত্রীরা সিটে বসে যাত্রা করছে। কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এই ঘটনা শুধু হাওড়াগামী মেট্রোতেই ঘটছে এমনটা নয়। উল্টোদিকের ক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম ঘটনা ঘটছে। ভিড় এড়ানোর জন্য এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া যাওয়ার পথে অনেকেই মহাকরণ স্টেশন থেকে চড়ে পড়ছেন ধর্মতলাগামী মেট্রোয়।
আরো পড়ুন: যাত্রীদের জন্য সুখবর, এবার চটজলদি পৌঁছানো যাবে এই রুট ধরে
কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) বিশেষ টিম গঠন করেছে এই ধরনের যাত্রীদের আটকানোর জন্য। এদের প্রধান কাজ হল উল্টো রুটের যাত্রীদের পাকড়াও করা। স্পেশাল টিম এমন যাত্রীদের ধরতে পারলেই তাঁদের মেট্রো স্টেশন থেকে বের করে দিচ্ছেন। সেইসব যাত্রীদের আবার নতুন করে টিকিট কেটে মেট্রোর যাত্রা করতে হচ্ছে। যেখানে বিনা টিকিটে যাত্রা করে এমন যাত্রীদের ধরার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং এখন থেকে এর পাশাপাশি প্রান্তিক স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীদের সুবিধে করে দিতেই এই পদক্ষেপ নিল কলকাতা মেট্রো।
বিষয়টি নিয়ে কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেছেন যে, ‘ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সেকশনে এই ড্রাইভ আগের থেকে অনেক বেশি জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি আগামী দিনে নর্থ-সাউথ মেট্রো সেকশনেও (ব্লু লাইন) এই ধরনের ড্রাইভ শুরু করার ভাবনা চলছে।