Kolkata municipal corporation tax: কলকাতা পুরসভার সম্পত্তি করে আসছে বদল! নতুন নিয়মে চিন্তা বাড়বে বাসিন্দাদের

Prosun Kanti Das

Published on:

Kolkata Municipality took a big decision, property tax is going to increase: আপনি কি কলকাতার বাসিন্দা? খুব শিগগিরই শহরে বাড়তে পারে সম্পত্তি কর (Kolkata municipal corporation tax)। এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার তরফে নেওয়া হতে পারে এই পদক্ষেপ। কর আদায়ে এবার চালু হতে চলেছে এলাকাভিত্তিক কর ব্যবস্থা বা ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতি। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভা কর পদ্ধতির বেস ভ্যালু বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্পত্তি কর বাড়তে পারে এইজন্যই। মেয়র পারিষদ বৈঠকে বর্তমানে এই সিদ্ধান্ত পাশ করেছে। কলকাতা পুরসভার পরবর্তী মাসিক অধিবেশনে এই প্রস্তাব আনা হবে এবং হাউসের সম্মতি পেলে সেক্ষেত্রে তা বাস্তবায়িত হবে।

এবার আলোচনা করা যাক এলাকাভিত্তিক কর বিন্যাস বা ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট প্রসঙ্গে (Kolkata municipal corporation tax)। এই পদ্ধতির দ্বারা যেখানে বিলাসবহুল আবাসন বা যে এলাকার মানুষ সুবিধা বেশি পান সেই অনুযায়ী কর বিন্যাস হয়ে থাকে। এই পদ্ধতি অনুসারে শহরকে সাতটি ক্যাটাগরি-তে ভাগ করা হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে যে সমস্ত করদাতারা আছেন তাঁদের ‘ইউনিট এরিয়া ভ্যালু’ স্কোয়ারফিট পিছু ৭৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮১ টাকা করা হচ্ছে। এই ‘এ’ ক্যাটাগরির এলাকার মধ্যে কারা পড়ছে? পার্ক স্ট্রিট, থিয়েটার রোড, আলিপুর এবং বালিগঞ্জের কিছু এলাকা, গড়িয়াহাট রোডের বাসিন্দারা।

এছাড়া ‘বি’ ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে ‘ইউনিট এরিয়া ভ্যালু’ স্কোয়ারফিট পিছু বাড়ানো হয়েছে (Kolkata municipal corporation tax) ৫৬ থেকে ৬২। ‘সি’-এর ক্ষেত্রে অঙ্কটা ৪২ থেকে ৪৬ এবং ‘ডি’-এর ক্ষেত্রে তা বেড়ে ৩২ থেকে ৩৫ করা হচ্ছে। ‘ই’, ‘এফ’ এবং ‘জি’ ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে অর্থ বাড়ানো হয়েছে অল্প।

এলাকাভিত্তিক কর ব্যবস্থার মাধ্যমে ধাপে ধাপ নতুন পদ্ধতির (Kolkata municipal corporation tax) আওতায় আনা হচ্ছে সমস্ত করদাতাদের এবং পুরসভায় এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত শহরের ৩৫ শতাংশ করদাতাকে এলাকাভিত্তিক কর ব্যবস্থার আওতায় আনা গিয়েছে। পুরসভা থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছে শহরের অন্যান্য বাসিন্দারাও যাতে ইউনিট এরিয়ার আওতায় আসেন।

যদি এই নয়া সম্পত্তি কর চালু হয় তাহলে নয় লাখ করদাতার উপর প্রভাব পড়তে চলেছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বদলে দেবে পুর ভাঁড়ারের হাল। এখন দেখার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন পায় কি না।