মদের হোম ডেলিভারীর খবর ভুল বলে জানালো কলকাতা পুলিশ

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গে ২৩ শে মার্চ বিকাল ৫ টার পর থেকে শুরু হয় লকডাউন। লকডাউনের কারণে কেবলমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ও জরুরী পরিষেবা ছাড়া বন্ধ হয়ে যায় সব কিছু। ঠিক তেমনই বন্ধ হয়ে যায় মদের দোকান। মদের দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সূরা প্রেমীদের মাথায় হয় বজ্রপাত। তন্ন তন্ন করে সূরা প্রেমীরা সূরার খোঁজে ছুটে বেড়ান। কেউ বেশি দামে অর্থাৎ ব্ল্যাকে মদ কিনে বাড়িতে সঞ্চয় করে রাখেন। কিন্তু তারপরেও তাদের মাথায় চিন্তা ঘুরছিল কতদিন চলবে! আর এই মদ নিয়ে বিকাল থেকেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে টিভির পর্দায় প্রচারিত হতে থাকে বাড়ি বাড়ি মদ হোম ডেলিভারী করার অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য সরকার।

Advertisements

Advertisements

বলা হয়, ‘বুধবার নবান্নে বৈঠকের পর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মদের হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রে দেওয়া হল ছাড়পত্র। এবার থেকে সূরা প্রেমীরা তাদের নিকটবর্তী মদের দোকান, রেস্তোরাঁ, বার ইত্যাদিতে মদের হোম ডেলিভারির জন্য অর্ডার দিতে পারবেন। তবে এই অর্ডার দেওয়ার সময় বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার। অর্ডার দেওয়া যাবে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত। কিন্তু মদের দোকানে সশরীরে আসা যাবেনা।’

Advertisements

আরও বলা হয়, ‘সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত অর্ডার দিয়ে দেওয়ার পর ডেলিভারি বয়রা সেই অর্ডার করা মদ দুপুর ২ টোর থেকে বিকাল ৫ টার মধ্যে আপনার বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। আর এই মদ যেসকল ডেলিভারি বয়রা ডেলিভারি দেবেন তাদের যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয় তার জন্য আলাদা করে পাস দেওয়া হবে। পাস পেতে মদের দোকানের মালিককে যোগাযোগ করতে হবে স্থানীয় থানায়। একটি মদের দোকানে সর্বাধিক তিনটি পাস দেওয়া হবে।’

কিন্তু খবর প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আর সেই বিতর্ক নিয়ে অবশেষে ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই মুখ খুলে কলকাতা পুলিশ। কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা জানান, “এই খবরের কোনরকম সত্যতা নেই। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এমন সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়নি। এটা সম্পূর্ণ ভুল খবর।”

Advertisements