Kolkata Police took a big decision regarding the traffic arrangement of Maa flyover: যেকোনো শহরের উন্নত রাস্তা সেই শহরের উন্নতির প্রমাণ। তিলোত্তমা নগরীর উন্নতির সবথেকে বড় প্রমাণ হলো একাধিক গজিয়ে ওঠা ফ্লাইওভার। যার মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে যানজট কাটিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নিমিষেই পৌঁছে যাওয়া যায়। কলকাতা শহরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উড়ালপুল মা ফ্লাইওভার (Maa flyover) যা ইএম বাইপাস, পার্ক সার্কাস বা এজেসি বোস রোডের রাস্তাগুলি সংযোগ করতে সাহায্য করে। শহরের এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিতে প্রায় নানান ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার আদৌ কি কোনো পথ আছে?
যানজট, বেপরোয়া গতি কিংবা দুর্ঘটনার কারণে প্রত্যেক দিন নানান সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের। কিন্তু সেই সমস্যার সমাধান কোনওভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। এবার সেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে লালাবাজার। কলকাতার এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটিকে (Maa flyover) সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে মোতায়ন করা হবে দশ জন পুলিশ।
কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এই ফ্লাইওভার(Maa flyover)এর সমস্যার সমাধানের জন্য? আপাতত ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এই ফ্লাইওভারটিতে চতুর্দিকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে কিন্তু তা সত্ত্বেও কি আটকানো যাচ্ছে বিভিন্নরকম বিপদ? মা ফ্লাইওভারের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ কর্মীদের জন্য একাধিক কিয়স্ক তৈরি করা হয়েছে। এই ফ্লাইওভারের যে যানজট সমস্যা দেখা দেয় তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে মোতায়েন করা পুলিশ কর্মীরা।
আরও পড়ুন ? কলকাতা হবে লন্ডন! রাস্তায় আসছে আমূল পরিবর্তন! রাজ্যে তৈরি হবে ওয়াটারপ্রুফ রাস্তা
দিনের ব্যস্ত সময়ে বিভিন্নরকম দুর্ঘটনা ঘটে কিংবা যানজটের সমস্যাও দেখা যায়, তাই এই সময়গুলোতেই সক্রিয়ভাবে নজরদারি চালাতে হবে। তাহলে যানজট অথবা দুর্ঘটনা দুটোই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যদি কোন গাড়ি বেপরোয়া ভাবে চালায় তাহলে তাকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব পুলিশের। লালবাজারের এই সিদ্ধান্তে শুধুমাত্র সাধারণ মানুষ নন গাড়ি চালকেরাও বেজায় খুশি। এর ফলে মা ফ্লাইওভারের (Maa flyover) বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধান হবে।
সাধারণ মানুষের চিন্তা অনেকটাই দূর হয়েছে পুলিশের এই সিদ্ধান্তের ফলে। যারা মা ফ্লাইওভার(Maa flyover) ব্যবহার করেন প্রতিনিয়ত তারা লক্ষ্য করেছেন সেখানকার বহু গাড়ি বেপরোয়া গতিতে চালানো হয়। আর এর থেকে দুর্ঘটনার ভয় থাকে সবথেকে বেশি। পুলিশের ভয় অন্তত কেউ বেপরোয়াভাবে এই ফ্লাইওভার দিয়ে গাড়ি চালাবে না যার ফলে দুর্ঘটনাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এই সিদ্ধান্তে ক্যাব ড্রাইভাররাও খুব খুশি কারণ যানজটের ফলে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হয় এবং তেলও খরচ হয় বেশি। পুলিশ মোতায়েন থাকলে যানজট এবং দুর্ঘটনা দুই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে নিমিষে।