বিশাল এই শঙ্খ হবে তিলোত্তমার নতুন পরিচয়, মিলবে কী কী সুবিধা

এমন কাজ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যা দেখলে আপনার গর্ব হবে। এমন এক স্থপতি, যা বাংলার শিল্পচর্চার অনন্য নিদর্শন হয়ে থাকবে বহু বছর ধরে। রাজ্য সরকারের এক অনন্য নির্মাণ। যা দেখে চোখ সরাতে পারবেন না। এমনই কিছু তৈরি হয়েছে মহানগরী কলকাতার বুকে। বাইরে থেকে দেখে যেমন ভিড়মি খাবেন, ভেতরে ঢুকলে অবাক হবেন আরও। এই শিল্পকলা মুখ্যমন্ত্রীর নাকি স্বপ্নের প্রকল্প ছিল। যা অবশেষে বাস্তব রূপ পেয়েছে। বাংলার নতুন বছরে পশ্চিম বাংলা পেতে চলেছে অনন্য সুন্দর একটি জিনিস। এই স্থপতি শিল্পীদের শিল্প সত্ত্বার এক অনন্য নিদর্শন হয়ে থাকবে।

কিন্তু কি এমন হল যা নিয়ে চারিদিকে এত চর্চা বাংলায়? ভারতবর্ষে শিল্প নিদর্শনের একাধিক স্থপতি রয়েছে। মহানগরী কলকাতার বুকে রয়েছে আধুনিক নানান নির্মাণের একাধিক পরিচয়। তবে এত জোর চর্চা একটি অডিটরিয়ামকে নিয়ে । অডিটোরিয়াম সে তো সামান্য বিষয়। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নামিদামি অনেক অডিটোরিয়াম তো রয়েছে। পুরনো, নতুন সবমিলিয়ে বহু এমন অডিটোরিয়াম রয়েছে যা বিশেষত্বের দাবি রাখে। তাহলে আবার দরকারই বা কি ছিল? আর কেনই বা সেই অডিটোরিয়াম নিয়ে এত চর্চা? সব জানবো বিস্তারিত।

এবার পয়লা বৈশাখের আগেই আরও একটি অডিটোরিয়াম পাচ্ছে তিলোত্তমা। আগামী ১৩ এপ্রিল যার উদ্বোধন করবেন খোদ মুখ্যমমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। কলকাতার আলিপুর এলাকায় যে একটি সুবিশাল প্রেক্ষাগৃহ তৈরি হতে চলেছে, তা আগেই জানানো হয়েছিল রাজ্যের তরফে। শিলান্যাসের সময় তার নামধামও ঠিক হয়ে যায়। এর নাম ‘ধনধান্য’ রাখার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৮ সালে অডিটোরিয়ামটি তৈরির কাজ শুরু করে পূর্ত দপ্তর। নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন। ১৫ এপ্রিল বাংলার নববর্ষ। তার আগেই এর দরজা খুলে দিতে চেয়েছিল পূর্ত দপ্তর। সেই পরিকল্পনা মাফিকই আগামী ১৩ এপ্রিল ‘ধনধান্য’র উদ্বোধন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শঙ্খের ধাঁচের ছ’তলার এই অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম গড়তে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মেট্রিক টন ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে। উদ্বোধনের পরপরই সাধারণের জন্য খুলে যেতে পারে ‘ধনধান্য’। বাইরে থেকে এটি দেখতে একেবারে শঙ্খের আকারের। জানা গিয়েছে, এর দৈর্ঘ্য ৫১০ ফুট এবং চওড়া ২১০ ফুট। এই অডিটোরিয়ামে রয়েছে দু’হাজার আসন বিশিষ্ট সভাঘর। সঙ্গে ৫৪০টি আসনের আরও একটি সভাগৃহ। এখানেই শেষ নয়, রয়েছে স্ট্রিট থিয়েটার। যেখানে একসঙ্গে ৩০০ দর্শক বসে শো উপভোগ করতে পারবেন। আলাদা অনুষ্ঠানের জন্য থাকবে আলাদা বিভাগ। ব্যাঙ্কোয়েট হল থেকে ফুড পার্ক- সবই থাকবে এখানে। এর নিচের তলায় গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। দু’টি ভাগে ২৫০টি গাড়ি একসঙ্গে রাখা যাবে। পাশাপাশি সবরকম অত্যাধুনিক পরিষেবা পাবেন আগতরা।