অফ বিট ডেস্টিনেশন হিসেবে ভিলেজ ট্যুরিজম এখন বেশ জনপ্রিয়। পাহাড়ের ছোট ছোট গ্রামে ঘুরে বেড়াতে অনেকেই ভালবাসেন। আর পাহাড়ের কোলে এমন এক গ্রাম আছে ছবির মতন সাজানো। এই সুন্দর গ্রামের নাম কংথং (Kongthong)। যেখানে কেউ কথা বলে না। মনের ভাব বোঝায় শিস দিয়ে।
শিলং থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দুরের এই কংথং (Kongthong) গ্রাম তার অপরূপ এবং panoramic দৃশের জন্য পরিচিত। এই গ্রামের আছে নিজস্ব সংস্কৃতিও। পাহাড়ের কোলে সবুজের সমারহ নিয়ে এই গ্রামের প্রকৃতি এবং সরলতা মেলবন্ধন ঘটেছে। এখানের নিস্তব্ধতা মনের মধ্যে জাগায় অন্য এক অনুভূতি। মেঘালয় রাজ্যের এই গ্রাম whistling village বা শিস দেওয়া গ্রাম বলেও পরিচিত।
কংথং (Kongthong)–র এক অন্য পরিচয়ও আছে। এই গ্রামের বাসিন্দারা প্রাচীন এক ধারা বহন করে চলেছে। এই গ্রাম দিয়ে বয়ে যায় এক অন্য সুর। এই গ্রামে বাসিন্দারা কেউ তাদের নামে পরিচিত নয়। তারা সবাই পরিচিত বিশেষ এক সুরে বা শিসে।
কংথং (Kongthong) গ্রামের বাসিন্দারা সবাই বিশেষ উপজাতির। আর এই উপজাতির একটি নিজস্ব ট্র্যাডিশন আছে। যেটি হলো ওই উপজাতির বাসিন্দারা জন্মের সময়ই একটি করে ওই শিস দেওয়া সুর পায়। যাকে বলা হয় ‘jingrwai iawbei’। যার বাংলা মানে ঠাকুমার থেকে শেখা গান। আর তারা সেটা বয়ে নিয়ে চলেন আমরণ। এই ভাবেই তারা এখনও পর্যন্ত বাঁচিয়ে রেখেছে তাদের ঐতিহ্য।
কংথং (Kongthong) গ্রামে বাস করেন প্রায় ৬৫০ জন মানুষ। জন্মের সময়ে সকলকে একটি বিশেষ সুর দেয় তাঁদের মা-বাবা। যত দিন তাঁরা বেঁচে থাকেন ততদিন ওই সুর থাকে তার সঙ্গে। মৃত্যুর সঙ্গেই শেষ হয়ে যায় সেই সুর। এই প্রথার কারণেই এই গ্রামের আরেক নাম ‘হুইসলিং ভিলেজ’। আর এই গ্রামটি কেবল সুন্দরই নয়, এই গ্রামের এই প্রাচীন ঐতিহ্য ও প্রথা অন্য গ্রাম থেকে এই গ্রামকে আলাদা করে।