নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি এবং তৃণমূল এই দুই শিবিরের রাজনৈতিক নেতাদের বাকযুদ্ধে সরগরম হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। রবিবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ‘ভাইপো’ সম্বোধনের পাল্টা দিতে গিয়ে বলেন, “যদি এক বাপের ব্যাটা হয়ে থাকেন তাহলে বলুন কাকে ভাইপো বলছেন। হিম্মত থাকে তো ভাইপোর নাম বলুন।”
আর কুণাল ঘোষের এই সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার পরেই দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষের বেশ কিছু পুরাতন ভিডিও নিয়ে হাজির বিজেপি এবং বিজেপির নেতারা। আর অবশ্যই এর নেতৃত্ব দিয়েছেন সর্বভারতীয় বিজেপি মিডিয়া সেলের দায়িত্বে থাকা অমিত মালব্য। সম্প্রতি তিনি বাংলার সহ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সাথে।
কুণাল ঘোষ সম্পর্কে পুরাতন যে কয়েকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেগুলির মধ্যে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন অমিত মালব্য নিজেই। যেখানে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে চিটফান্ড কাণ্ডে অভিযুক্ত কুণাল ঘোষকে পুলিশ ভ্যানে তোলা হচ্ছে। আর সে সময় কুণাল ঘোষ চিৎকার করে বলছেন, “সারদা মিডিয়ার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সুবিধা যোদি সবথেকে বেশি কারোর কাছে পৌঁছে থাকে, তাহলে তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
Kunal Ghosh, scam tainted spokesperson of TMC, who was fielded to defend ‘Bhaipo’ had this to say in Sept 2014, “If there is anyone who has directly or indirectly benefited the most from Saradha Media, that person is Mamata Banerjee“.
Pishi can clarify if the allegation is true! pic.twitter.com/FQMRsxU1BZ
— Amit Malviya (@amitmalviya) November 22, 2020
দ্বিতীয় যে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া আপলোড করা হয়েছে সেটি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি ফেসবুক পেজের তরফ থেকে। সেই ভিডিওতে একই পরিস্থিতিতে একগাল দাড়ি নিয়ে কুণাল ঘোষকে বলতে দেখা যাচ্ছে, “চিটফান্ডের দয়ায় যারা ক্ষমতায় এসেছে, মুখ্যমন্ত্রী, ৮ জন এমপি এবং ৬ জন মিনিস্টার। সরাসরি দোষী। তারা কি ওখানে আলোচনা করে”
In the next @AITCofficial press conference, @KunalGhoshAgain should reiterate his public stand on the Saradha scam. Or maybe explain what he thinks of ‘the greatest Saradha beneficiary’ or why he himself had to go to jail in the first place.
Leave Bhaipo, save Pishi instead… pic.twitter.com/M3Xk2T0ky4
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) November 22, 2020
তবে শুধু বিজেপি নয়, বর্তমানে কুণাল ঘোষ তৃণমূলের পক্ষ নিয়ে কোনো বিতর্কে অংশগ্রহণ করলেই সিপিআইএম নেতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন নেতারা পুরাতন প্রসঙ্গ টেনে এনে ঘুরিয়ে আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে কুণাল ঘোষকে।
তবে বিরোধীরা যাই বলুক না কেন কুণাল ঘোষের মধ্যে একটা লড়াকু মনোভাব রয়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। পর্যবেক্ষকদের মতে যে কারণে তিনি তার লড়াকু মনোভাব নিয়েই শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের প্রাসঙ্গিকতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। রাজনীতির ময়দানে তিনি তাঁর নিজের দূরদৃষ্টিতা দেখিয়ে দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব পেয়েছেন।