La Nina: শীতকাল থেকেই গোটা দেশে প্রভাব পড়তে শুরু করবে লা নিনার৷ শুধু এই দেশে নয় গোটা বিশ্বে এর প্রভাব পড়বে মারাত্মকভাবে৷ আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা অনুযায়ী, ভারত আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়ে দিয়েছে যে চলতি বছরেই প্রভাব পড়তে শুরু করবে লা নিনার। বর্ষার শেষে লা নিনার প্রভাবে তাপমাত্রায় অতিরিক্ত হ্রাস পেয়েছে। লা নিনার কারণেই দেখা যাচ্ছে বেশি বৃষ্টিপাত। যারফলে শীতের সম্ভাবনা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহবিদরা বলেছেন যে, এল নিনো এবং লা নিনা (La Nina) দুটি হল দুই বিপরীত পরিস্থিতি। প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে দুটি বিপরীত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এই দুটির কারণেই। বর্তমানে পৃথিবীর মানুষকে চরম ভোগান্তি প্রভাতে হচ্ছে ‘এল নিনো’ বা ‘লা নিনা’-র প্রভাবের কারণে। দুই প্রকৃতির চরম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এল নিনো এবং লা নিনার প্রভাবের জন্য। কখনো মানুষকে পড়তে হয় খড়ার মুখে আবার কখনো বন্যা পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হয়। এমনকী সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে দেখা দেয় ঘূর্ণিঝড়ও।
অনেকেই হয়তো জানেন যে, লা নিনা (La Nina) এবং এল নিনো উভয়ই হলো উল্লেখযোগ্য মহাসাগরীয় এবং বায়ুমণ্ডলীয় ঘটনা। এই ধরনের ঘটনা সাধারণত এপ্রিল এবং জুনের মধ্যেই লক্ষ্য করা যায়। অক্টোবর এবং ফেব্রুয়ারির মধ্যে শক্তি অর্জন করে। এই ধরনের ঘটনা পৃথিবীজুড়ে ৯ থেকে ১২ মাসের মধ্যে স্থায়ী হয়। কিন্তু পরিস্থিতি যদি জটিল হয় তাহলে দুই বছর টানা এর প্রভাব লক্ষ্য করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন:Weather in West Bengal: পারদ পতন দক্ষিণবঙ্গে, ডিসেম্বরে কেমন থাকবে আবহাওয়া জানালো হাওয়া অফিস
সারা বিশ্বব্যাপী জলবায়ুকে প্রভাবিত করে লা নিনা (La Nina)। লা নিনার সূচনা এই ভারসাম্যকে ব্যাহত করে। কিন্তু এল নিনো প্রশান্ত মহাসাগরে উষ্ণ বায়ু এবং মহাসাগরের তাপমাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। এর ফলে সারা পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে, লা নিনা সমুদ্র পৃষ্ঠ এবং এর উপরে থাকা বায়ুমণ্ডল উভয়কে ঠান্ডা করে বিপরীত প্রভাবকে প্ররোচিত করে।
চলতি বছরের শীতের ওপর লা নিনার প্রভাব পড়তে চলেছে খুব সক্রিয়ভাবে। লা নিনা সক্রিয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, আবহাওয়াবিদরা মনে করছে বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা। ইতিমধ্যে, IMD-এর চলতি বছরের চ্যালেঞ্জগুলির জন্য প্রস্তুতির উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছে। এল নিনো কিন্তু গত বছরও যথেষ্ট সক্রিয় ছিল। পৃথিবীজুড়ে লক্ষ্য করা গেছে, উষ্ণ তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের অভাব। কিন্তু লা নিনার প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে, কাশ্মীরে দেখা দিতে পারে তীব্র শীত, এই তীব্র শীত পর্যটকদের আকর্ষণ করলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলিকে আরো কঠিন করে তোলে দিনকে দিন। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মতো উত্তরের রাজ্যগুলোতে এর প্রভাব যথেষ্ট ভাবে পরিলক্ষিত হয় এবং বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত আবহাওয়াবিদরা।