LAC Border Highway: চীন সীমান্তে এই ১১ জায়গায় জাতীয় সড়ক তৈরি করবে ভারত, শুনেই ঘুম উড়ল জিনপিংয়ের

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারত চীন সীমান্ত (LAC) বরাবর এর আগে হামেশাই চীনকে নানান ধরনের কার্যকলাপ করে ভারতের রাতের ঘুম উড়াতে দেখা যেত। তবে এবার সেই দিনের বদল এসেছে। এবার পাল্টা ভারত চীনের ঘুম উড়িয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন সময়। কখনো সীমান্তের কাছাকাছি জায়গায় টার্মিনাল বিল্ডিং তৈরি করার পরিকল্পনায় চীনের ঘুম উড়াচ্ছে, আবার কখনো অন্য কিছু। আর এবার ভারত যে পদক্ষেপ নিল তাতে চীনকে (China) আরও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে ভারত (India)।

কেননা ভারত এবার টার্মিনাল বিল্ডিং সহ বিভিন্ন কাজকর্মের পরিকল্পনা ছেড়ে ভারত চীন সীমান্ত বরাবর বিরাট জাতীয় সড়ক (LAC Border Highway) তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করলো। ভারতের এই পরিকল্পনার কারণে সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীদের তৎপরতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এলাকার উন্নয়ন আরও বেড়ে যাবে। যা কখনোই চীনের কাছে ভালো নয় এবং তারা কখনোই তা ভালোভাবে বিষয়টি নেবে না।

সীমান্ত এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং সীমান্তের সংযোগকারী রাস্তাগুলির উন্নয়নের জন্য এই রাস্তা তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে রাস্তা তৈরি করার জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ভারত সরকারের তরফ থেকে ১-২ জায়গায় নয়, এমন রাস্তা তৈরি করা হবে ১১ জায়গায়। এই ১১ জায়গায় রাস্তা তৈরি হলে এলাকার ঢালাও উন্নয়নের পাশাপাশি ভারতীয় সেনাদের বিচরণে সুবিধা বেড়ে যাবে কয়েক গুণ।

আরও পড়ুন 👉 Ladakh civil terminal building: রাতের ঘুম উড়ে গেল চীনের! লাদাখে চীন সেনাদের দাপাদাপি কমাতে এবার বড় পদক্ষেপ ভারতের

ভারতের তরফ থেকে এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে মূলত চীন, তিব্বত, মায়ানমার সীমান্ত এলাকায়। চীন ভারতের এমন পদক্ষেপে মোটেই খুশি হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা চীনের চোখ বরাবর রয়েছে তিব্বত, মায়ানমার সহ ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মত বিভিন্ন এলাকায়। স্বাভাবিকভাবেই এই সকল এলাকার উন্নয়নের জন্য যেভাবে ভারত টাকা বরাদ্দ করেছে তা চীনের কাছে অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে ভারত সরকারের তরফ থেকে প্রায় ১৭৪৮ কিলোমিটারের দুই লেনের জাতীয় সড়ক তৈরি করা হবে। চলতি বছর এপ্রিল মাস থেকেই এই কাজ শুরু হয়ে যাবে। আবার এই জাতীয় সড়কের জন্য ভারত সরকার যেভাবে জায়গা বেছে নিয়েছে তাতে চীনেরও বলার কিছু নেই। কেননা জাতীয় সড়কটি হবে সীমান্ত থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। অন্যদিকে এমন পরিকল্পনার ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানেরও অনেক সুযোগ বেড়ে যাবে।