নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলাদের হাত খরচের জন্য প্রতি মাসে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নগদ টাকা দেওয়ার জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এখন আবার এই প্রকল্পের টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০০০ ও ১২০০ টাকা। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প রাজ্যের পাশাপাশি এখন দেশের মানুষদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তবে এমন জনপ্রিয় একটি প্রকল্প নিয়েই লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফা ভোট গ্রহণের আগে গুরুতর অভিযোগ উঠল। বেশকিছু মহিলা সরকারের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তাদের অভিযোগ, আগে টাকা পেতেন, কিন্তু এখন আর পান না। এমনকি টাকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হিসাবে তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকেই দাবি করেছেন।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেওয়ার এমন গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে সন্দেশখালির শেখ শাজাহানদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা লড়াইয়ি মুখ রেখা পাত্রের জা সাগরী পাত্র। রেখা পাত্রের মতোই আর্থিক দিক দিয়ে খুবই পিছিয়ে পড়া সাগরী পাত্র এবং এলাকার আর কয়েকজন মহিলা। তারা একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আগে পেলেও কয়েক মাস ধরে তারা বেশ কয়েকজন মহিলা আর লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাচ্ছেন না। এমনকি তাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তারা আন্দোলন করেছিলেন বলেই তাদের টাকা বন্ধ করে দিয়েছেন দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)।
সন্দেশখালির আন্দোলনের অন্যতম মুখ রেখা পাত্রকে এবার বিজেপির তরফ থেকে প্রার্থী করার পরই লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। এমনভাবে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল যাকে বিরোধীদের তরফ থেকে নিম্নমানের অপপ্রচার বলেই দাবি করা হচ্ছিল। যেখানে বলা হচ্ছিল, বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রও লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা নেন। আর এবার শেষ দফা ভোটের আগে এই লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়েই নতুন করে শুরু হলো চর্চা।
যদিও লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বন্ধ হয়ে যাওয়া অথবা করে দেওয়ার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা অচ্যুতানন্দ নস্কর। তিনি জানিয়েছেন, কি হয়েছে তা বলতে পারব না, তবে কারো টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা এক্সপির প্রতিনিধিরা বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।