নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের বাসিন্দাদের সুযোগ-সুবিধা তুলে দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একের পর এক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। মমতা সরকারের আওতায় অন্ততপক্ষে ৭০টির বেশি জনদরদী প্রকল্প রয়েছে। তবে এই সকল প্রকল্পের মধ্যে যে প্রকল্প সবচেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তার নাম হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রাজ্যের মহিলাদের এখন প্রতি মাসে ১০০০ টাকা ও ১২০০ টাকা করে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আগে এই টাকার পরিমাণ ছিল প্রতিমাসে ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকা। লোকসভা ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডারকে ফের একবার তুরুপের তাস করে তৃণমূলের তরফ থেকে টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জনপ্রিয়তা থাকলেও এই প্রকল্পকে পিছনে ফেলে প্রতি মাসে মমতা সরকারের তরফ থেকেই আরেকটি প্রকল্পে ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রকল্পটির নাম হল সমুদ্র সাথী প্রকল্প (Samudra Sathi Prakalpa)। তবে এই প্রকল্পের আওতায় সারা বছর টাকা পাওয়া যায় না অথবা সবাই টাকা পাওয়ার সুযোগ পান না।
আরও পড়ুন ? UTS App New Rules: শুধু লোকাল নয়, এবার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটও মিলবে UTS অ্যাপে, এসে গেল বড় বদল
মূলত ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা দু’মাসের জন্য সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়ে থাকে সরকারের তরফ থেকে। এই টানা দু’মাস রাজ্যের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার মৎস্যজীবীরা একপ্রকার বেকার অবস্থায় বসে থাকেন। তাদের এমন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই মমতা সরকারের তরফ থেকে প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়ার জন্য সমুদ্রসাথী প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যে সময় মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়ে থাকে সেই সময় অর্থাৎ দু’মাস এই টাকা দেওয়া হয়।
আবার এই প্রকল্পের আওতায় কিন্তু রাজ্যের সমস্ত এলাকার মৎস্যজীবীরা সুবিধা পাবেন তা নয়। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই প্রকল্পের আওতায় কেবলমাত্র তিনটি জেলার মৎস্যজীবীদের ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে। যে তিনটি জেলা হলো উপকূলবর্তী জেলা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর। মূলত মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকাকালীন ওই সকল এলাকার মৎস্যজীবীদের জীবনধারণের জন্য এই টাকা দেওয়া হয়।