বাড়িতে বসে Online-এই হবে জমির মিউটেশন, অভিনব উদ্যোগ রাজ্য সরকারের

নিজস্ব প্রতিবেদন : টাকা পয়সা দিয়ে জমি কেনার পরও এক বড় ঝামেলা বা ভোগান্তির বিষয় হলো জমির মিউটেশন। যা নিয়ে ক্রেতাকে এযাবৎ যেতে হতো B.L. & L.R.O. অফিসে। যেখানে আবেদন করতে হতো, তারপর সেই আবেদনের ভিত্তিতে হত জমির মিউটেশন। কিন্তু এবার এই দীর্ঘ পদ্ধতি ও ছোটাছুটির অবসান ঘটল। এবার জমির রেকর্ড সংশোধন করা হবে বাড়িতে বসেই, কোনরকম আবেদন ছাড়াই ও সম্পূর্ণ Online পদ্ধতিতে। এমনই অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে, যে তথ্য আমরা পাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব এবং উদ্বাস্তু, ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর থেকে। তবে অনলাইনে এই অটোমেটিক মিউটেশনের ক্ষেত্রে রয়েছে কতগুলি শর্ত। আরও বলে রাখা ভালো সরকার কর্তৃক প্রদত্ত শর্তগুলি পূর্ণ থাকলে আপনাকে কোন কিছুই করতে হবেনা নিজে থেকেই হবে জমির মিউটেশন।

১) নথিভূক্ত রায়ত ও জমির বিক্রেতা যদি একই ব্যক্তি হন ও জমির রেকর্ড সংশোধনের অন্যান্য শর্ত পূরণ হয়, তাহলে কোনরকম আবেদন ও শুনানী ছাড়াই ক্রেতার নামে রেকর্ড তৈরী হয়ে যাবে।

২) নথিভুক্ত রায়ত ও জমির বিক্রেতা যদি আলাদা আলাদা ব্যক্তি হন ও জমির রেকর্ড সংশােধনের অনান্য শর্ত পূরণ হয়। পাশাপাশি ৩০ দিনের মধ্যে কোন অভিযােগ যদি জমা না পড়ে, তবে কোনরকম আবেদন ও শুনানী ছাড়া ক্রেতার নামে রেকর্ড তৈরী হয়ে যাবে।

৩) (১) ও (২) এই দুটি ক্ষেত্রেই জমির রেকর্ড সংশােধনের অন্যানা শর্ত পূরণ না হলে বা কোনরকম অভিযােগ জমা পড়লে শুনানীর মাধ্যমে রেকর্ড সংশােধিত হবে।

৪) শুনানীর নােটিশের জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://banglarbhumi.gov.in) লক্ষ্য রাখতে হবে।

৫) যে সব জমির বেচাকেনা আইন বিরুদ্ধ সেই সকল জমির ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না।

৬) বিএল, অ্যান্ড এলআরও অফিস থেকে দেওয়া জমির রেকর্ডে কোন ভুল থাকলে তা সংশােধনের জন্য জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক ভূমিলেখ্য ও জরীপ অধিকর্তা/ভূমি সংস্কার কমিশনার ও প্রধান সচিব, সরকারের কাছে আবেদন করতে পারেন।

উপরে দেওয়া সুবিধাগুলি পাওয়ার জন্য জমি ক্রেতাকে কি কি করতে হবে?

নথিভূক্ত রায়ত ও জমির বিক্রেতাকে একই ব্যক্তি হতে হবে।

জমি রেজিস্ট্রেশনের সময় মিউটেশন ফি (কৃষিজমি ছাড়া অন্য জমিতে) দিতে হবে।

রেজিষ্ট্রেশনের আগে রিকুইজিশন ফর্ম পূরন করার সময় ক্রেতা, বিক্রেতা ও তাদের পিতার নাম সঠিক হতে হবে।

ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সঠিক হতে হবে। কোন ই-মেল আই ডি থাকলে দিতে হবে।

ক্রেতার ঐ মৌজায় কোন জমি থাকলে তা খতিয়ান দিতে হবে।

এই সুবিধা আপাতত যেখানে মৌজার নথির চূড়ান্ত প্রকাশ হয়েছে ও যেখানে হোল্ডিং নম্বরের ভিত্তিতে জমির কেনাবেচা হয় না সেখানে প্রযােজ্য।