নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর সংসদের বাজেট অধিবেশন পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ডিজিটালাইজেশনকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বেশকিছু ঘোষণা করেন। এইসকল ঘোষণার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হল ডিজিটাল উপায়ে জমির রেকর্ড সংরক্ষিত রাখা। এই ডিজিটাল রেকর্ড আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের মধ্যেই তৈরি করার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে সরকার। ওয়ান নেশন ওয়ান রেজিস্ট্রেশন প্রকল্পের অধীনে হবে এই ডিজিটালাইজেশন।
এই প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রতিটি জমিকে একটি করে ইউনিক পঞ্জিকরণ নম্বর দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এই নম্বর হতে পারে আধার নম্বরের মতই ১৪ সংখ্যার নম্বর। এই ইউনিক নম্বরের মাধ্যমে যে কেউ অনলাইনে জমির রেকর্ড দেখতে পাওয়ার পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি ডাউনলোড করতে পারবেন।
এই ব্যবস্থাপনার ফলে দেশের সাধারণ মানুষেরা খুব সহজে পেয়ে যাবেন নিজেদের জমির কাগজপত্র। আবার এই নম্বর প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা মতো বেশ কিছু প্রকল্পের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ হবে। এর পাশাপাশি কেন্দ্র সরকার দেশের সমস্ত জমির ডাটা ডিজিটাল ফরমেটে একত্রিত করার জন্য নতুন একটি পোর্টাল তৈরি করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এই যে নতুন পোর্টাল তৈরি করা হবে সেই পোর্টালে নিজের জমির ইউনিক পঞ্জিকরণ নম্বর দিয়ে সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এই যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এই পদক্ষেপ অনেকটা আধার নম্বরের মত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে একে জমির আধার নম্বর বলা যেতে পারে।
ওয়ান নেশন ওয়ান রেজিস্ট্রেশন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে দেশের জমির পরিমাপ করা হবে ড্রোনের মাধ্যমে। এর ফলে জমির সীমা মাপার ক্ষেত্রে কোন ভুল অথবা গন্ডগোলের আশঙ্কা নেই বললেই চলে। পরবর্তীতে ড্রোনের সাহায্যে মাপা জমি সরকারের পোর্টাল নথিভূক্ত করা হবে। এই ব্যবস্থাপনা চালু হলে সাধারণ মানুষকে নিজেদের জমির কাগজপত্রের জন্য অফিসে চক্কর কাটতে হবে না। পাশাপাশি জমি কেনাবেচার বিষয়টিও সুগম হবে।