ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের থেকে নেওয়া যাবেনা ১ মাসের বাড়ি ভাড়া, নির্দেশ কেন্দ্রের

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে যখন লকডাউন শুরু হয়েছে তখন শ্রমিকরা সর্বস্বান্ত হয়ে বাড়ি ফেরার জন্য ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। যা এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিপদজনক। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের সামনে এই মুহূর্তে আরও বড় বিপদ কাজ হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়া। কারণ তাদের কর্মস্থলে থাকতে হয় বাড়ি ভাড়া দিয়ে অথবা অন্য কোনো উপায়ে। কাজ না থাকলে কিভাবে বাড়ি ভাড়া দেবেন? কীভাবেই বা জুটবে খাওয়া-দাওয়া?

আর এসব কারণেই তারা আজ করোনাভাইরাসের ভীতিকে দূরে সরিয়ে আরও একটা বাঁচার সংগ্রাম চালাচ্ছেন। তাইতো দেশের প্রতিটি প্রান্তে এই সকল শ্রমিকদের থিকথিকে ভিড়ের ছবি তোলপাড় করে দিয়েছে দেশকে। বিশেষ করে দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ সীমান্তে আনন্দ বিহার বাস টার্মিনালে আসা শ্রমিকদের থেকে ভিড়ের ছবি। যার পরেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। শ্রমিকদের ঘরমুখো হওয়ার প্রবণতা ঠেকাতে তাই এবার বড়োসড়ো পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের থেকে এক মাসের বাড়ি ভাড়া নিতে পারবেন না বাড়িওয়ালারা।

বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী এই নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। যাতে বলা হয়েছে, ভিন রাজ্য থেকে কোন রাজ্যে কাজ করতে আসা শ্রমিকরা যদি কারোর বাড়িতে ভাড়া থাকেন তাহলে সেই শ্রমিকের কাজ থেকে এক মাসের ভাড়া নিতে পারবেন না বাড়িওয়ালারা। এমনকি ভাড়া আদায়ের জন্য কোন রকম ভাবে জোরজবস্তিও করা যাবে না। আর এমনটা করলে ওই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই নির্দেশিকা কার্যকর করতে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে দেশের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে বার্তা দিয়েছে।

আগেই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে প্রতিটি রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের লকডাউন চলাকালীন খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর বিষয়ে। তবে লকডাউনে কাজ হারিয়ে অর্থ সংকটের মধ্যে পড়ায় হাজার হাজার শ্রমিক ঘরমুখো হতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে তাদের ঘরমুখো হওয়া সমাজের পক্ষে বিপদজনক। আর তা ঠেকাতে এবার কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।