২৯-এ শুরু, ২২-শে বিদায়, মণিকোঠায় থাকবেন লতাজি

শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : জীবন্ত কিংবদন্তি বললেও বোধহয় যাঁকে কোনো ভুল হবে না, সুরের জগতের সম্রাজ্ঞীর মহাপ্রয়াণ ঘটলো আজ। সেই সঙ্গে তাঁর সেই সুরের ঝংকার যেনো চিরকালের মতো স্তব্ধ হয়ে গেল। সুরের জগতের এই অপূরণীয় ক্ষতি ঘটে গেলো

সকাল ৮ টা ১২ মিনিটে প্রয়াত হলেন সুরের সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। দীর্ঘ সময় ধরে সঙ্গীত জগতে একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বি শিল্পী হিসেবেই বেঁচে থাকবেন তিনি। দীর্ঘ চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও শনিবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।

তারপর আর ফেরানো গেলো না তাঁকে! লড়াইটা থেমে গেলো এভাবেই। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ড হাসপাতালে করোনা পজিটিভ হয়ে ভর্তি হওয়ার পরেই আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো কই!

মধ্যপ্রদেশের এক সঙ্গীত পরিবারে ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। মারাঠি সংগীতের একজন ধ্রুপদী গায়ক ছিলেন বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর। বাবার থেকেই গানের শিক্ষার সূচনা। মাত্র ১৩ বছর বয়সে গানের রেকর্ডও করে ফেলেছিলেন তারপরেই তাঁর মুম্বই পাড়ি দেওয়া।

সারা জীবনে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি গান গেয়ে ফেলেছেন তিনি। আর পুরস্কারের কথা বললে তো শেষ করা যাবেনা। সেরা প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে তেইশবার সেরা গায়িকার খ্যাতি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। একটি প্রচলিত কথা আমরা ব্যবহার করে থাকি, কোনো মহান মানুষের প্রয়াণে, একটি যুগের অবসান কিন্তু লতা মঙ্গেশকরের ক্ষেত্রে সেই কথা বোধহয় কম হয়ে যাবে। ওনার মৃত্যুতে একটি নয় একসাথে বহু যুগের অবসান ঘটলো। লঘু সঙ্গীতে ঘরানার ক্ষেত্রে যেনো কিছু একটা চিরকালের মত ছেদ পড়লো।