‘অভিষেকের কেরিয়ার শেষ করার জন্য যা যা দরকার করেছে’, বিস্ফোরক স্ত্রী সংযুক্তা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত মার্চ মাসের ২৪ তারিখ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সবাইকে ছেড়ে চলে যান টলিউড অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। তার এই ভাবেই চলে যাওয়া কেউ মেনে নিতে পারছেন না। পাশাপাশি তার চলে যাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান ধরনের রটনা রটছে। এই সকল নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সদ্য প্রয়াত অভিনেত্রী সংযুক্তা।

Advertisements

অভিনেতার মৃত্যুর পর ইন্ডাস্ট্রিতে নানা কানাঘুষোর প্রতিবাদ করতেই মূলত সরব হয়েছেন সংযুক্তা। মূলত যে খবর রটেছিল ইন্ডাস্ট্রির এক বিখ্যাত অভিনেতা এবং অভিনেত্রী আর্থিক সাহায্য করেছেন অভিযোগের পরিবারকে। এই রটনার বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পাশাপাশি নাম না করে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের দিকে আঙুল তুলেছেন সংযুক্তা।

Advertisements

টলিফোকাস কলকাতা-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংযুক্তা জানিয়েছেন, “ওর চলে যাওয়ার পর আমি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলাম। তবে অনেক কথা কানে আসছিল। আমার পরিচিতরাই আমায় বলছিল এ কী শুনছি, এক অভিনেতা নাকি তোমায় ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছে। যে অভিনেতার কথা বলা হচ্ছে সেই অভিনেতার সঙ্গে অভিষেকের সম্পর্ক ভালো ছিল না। এমনকী অভির কেরিয়ার শেষ করে দিতে সেই অভিনেতা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল।”

Advertisements

এর পাশাপাশি তিনি জানান, “আরও এক অভিনেত্রী নাকি পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছে। সেই অভিনেত্রীও…. অভিষেক খুব স্বচ্ছ মানুষ ছিল। ও নিজেও অনেক সাক্ষাত্কারে বলেছে। আমি নাম নিচ্ছি না, তবে ওরা অভিষেকের কেরিয়ার নষ্ট করে দেওয়ার জন্য যা-যা করার করেছে…. যে সময় অভিষেক কেরিয়ারে শীর্ষে ছিল, সেই সময় ২২টা ছবি থেকে অভিষেককে হটিয়ে দিয়েছিল ওরা। তারা নাকি আমাকে অর্থ সাহায্য করেছে! তারা তো শোকবার্তাও পাঠায়নি ব্যক্তিগতভাবে অর্থ সাহায্য তো দূরের কথা।”

একইভাবে সদ্য প্রয়াত অভিনেতা স্ত্রী সংযুক্তা জানিয়েছেন, “শুনলাম একজন নামী ক্রিকেটার নাকি আমার মেয়ের সব দায়িত্ব নেবে, এইসবও শুনছিলাম। তাও আমি চুপ ছিলাম। তারপর কানে এল অভিষেক নাকি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ছিল না। আর এখন আমি সবার কাছে হাত পাতছি। তখন মনে হল আর নয়। এবার জবাব দিতে হবে। মনে হল, অভিষেক নিজেই আমাকে বলছে তুমি ল্যাপটপটা খোলো, উত্তর দাও…. তাই ফেসবুকে সবটা লিখলাম। আমি নিজে এক ইউকে স্থিত ফিনটেক কোম্পানিতে কর্মরত। অভিষেকের আর্শীবাদে আমার যা বেতন, তা দিয়ে আমি আমাদের তিনজনের সংসার চালাতে পারতাম, অভিষেকের কাজ করবার কোনও দরকার ছিল না।”

এর সঙ্গে যুক্ত করে সংযুক্তা জানান, “কিন্তু পরিবারের মাথা হিসাবে ও খরচ ও চালাতো, কিন্তু আমিও সক্ষম। এখনও সবটা খুব ভালোভাবে চলে যাবে… আমাদের মেয়ের কোনও অসুবিধা হবে না। আসলে অভিষেক জীবনে কারুর সামনে হাত পাতেনি, যখন ওকে ২২টা ছবি থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে তখনও পাতেনি। আর আমি ওর স্ত্রী হিসাবে কারোর সাহায্য নেব? কোনও দিনও না”।

Advertisements